Fraud

Murshidabad: আত্মঘাতী চাকরিপ্রার্থী, চাকরির নামে ১৫ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে!

প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠল এক ভূগোলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলঙ্গি শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২২ ১৯:৪৯
Share:

চাকরির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। প্রতীকী চিত্র।

প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভূগোলের শিক্ষক গৌতম ঘোষের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার চার যুবকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন গৌতম। সেই চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে এক জন আত্মহত্যা করেছেন। দেগঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ হওয়ার পরই সামনে এসেছে এই অভিযোগ।

Advertisement

প্রতারিতদের অভিযোগ, ২০১৮ সালে দেগঙ্গা চাকলার বাসিন্দা খোকন রায়ের কাছ থেকে তাঁর দুই মেয়েকে প্রাথমিক স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে সাত লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা নেন গৌতম। এ ছাড়া আরও দুই চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে ছ’লক্ষ করে টাকা নেন জলঙ্গি হাইস্কুলের শিক্ষক। কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত একাধিক বার চাকরি দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করলেও কারও চাকরি হয়নি। উল্টে ২০২১ সালে ওই শিক্ষক আরও টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ। এতেই সন্দেহ হয় খোকনের। তিনি গৌতমের কর্মস্থল জলঙ্গি উচ্চ বিদ্যালয়ে যান। সেখানে দু’জনের দীর্ঘ ক্ষণ কথা হয়। তার পর থেকে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় ওই শিক্ষকের বাড়ি। কর্মসূত্রে তিনি জলঙ্গিতে থাকতেন। খোকন-সহ মোট দুই যুবক গৌতমকে বার বার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। শেষে বাধ্য হয়ে দেগঙ্গা থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা।

Advertisement

এর মধ্যেই শিক্ষক গৌতম ও খোকনের একটি ফোন কথোপকথনের অডিয়ো রেকর্ডিং ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে (কল রেকর্ডিংয়ের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। অভিযোগকারীদের দাবি, ওই কথোপকথনে গৌতম বলেন, ‘আগে দু’জন প্রার্থীকে ‘স্যাম্পল’ হিসেবে পাঠানো হবে। সেগুলি হয়ে গেলে বাকিগুলিও হয়ে যাবে।’ ওই কল রেকর্ডিংয়ে আবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের নামও নেওয়া হয়। অভিযোগ, গৌতম জানান, আদালতের ঝামেলায় আপাতত চুপচাপ থাকতে হবে। খোকনকে তিনি এ-ও জানান, এমন আরও ১৫ জন চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তিনি।

এই টানাপড়েনের মাঝে মানসিক অবসাদে দেগঙ্গার এক চাকরিপ্রার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে তাঁর পরিবারের অভিযোগ। থানায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এ নিয়ে তাঁর বক্তব্য মিললে প্রতিবেদনটি আপডেট করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement