—নিজস্ব চিত্র।
মিড ডে মিল খাওয়ার পর থেকেই পেট ব্যথা, বমি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করানো হল স্কুলের পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির শতাধিক পড়ুয়াকে। মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা ২ ব্লকের আখেরিগঞ্জ হাই স্কুলের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। স্কুলে তাঁবু খাটিয়েও চলল চিকিৎসা। অসুস্থ পড়ুয়াদের দাবি, মিড-ডে মিলের ‘পচা ডিম’ খেয়েই তারা অসুস্থ হয়েছে। এই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন ও কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন অভিভাবকদের একাংশ। তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে ব্লক প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা ব্লকের আখেরিগঞ্জ হাই স্কুলের মিড ডে মিলের খাবার খেয়ে প্রায় শতাধিক পড়ুয়া পেট ব্যথা, বমির উপসর্গ নিয়ে অসুস্থবোধ করতে থাকে। এই ঘটনার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ খবর দেন স্বাস্থ্য দফতর ও ব্লক প্রশাসনকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তিনটি অ্যাম্বুল্যান্স ও সাত সদস্যের মেডিক্যাল টিম। অসুস্থ হয়ে পড়া পড়ুয়াদের কয়েক জনকে প্রথমে নসিপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়। তাদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থার অবনতি হলে তাদের স্থানান্তর করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পরে বিডিও উৎপল মজুমদার জানান, অসুস্থ পড়ুয়াদের অবস্থা স্থিতিশীল। তিনি বলেন, ‘‘স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাকে ফোন করে জানান, কিছু বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তৎক্ষণাৎ মেডিক্যাল টিম নিয়ে স্কুলে পৌঁছে দেখি, প্রচুর বাচ্চা পেটের যন্ত্রণায় ছটফট করছে। প্রথমে একটা অ্যাম্বুল্যান্স যায়। পরে আরও দু’টি অ্যাম্বুল্যান্সে ছাত্রছাত্রীদের নসিপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কী কারণে এমন ঘটনা, প্রাথমিক ভাবে বোঝা না গেলেও খাবার থেকেই পেটে কোনও সমস্যা হয়েছে। এ ব্যাপারে নিশ্চিত।’’
পড়য়াদের অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় স্কুলে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, মিড ডে মিলে দেওয়া ‘পচা ডিম’ খেয়ে সকলে অসুস্থ হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষককে দীর্ঘ ক্ষণ ঘেরাও করেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।