— প্রতীকী ছবি।
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক জনের। গুরুতর আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও দু’জন। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া গাড়ি থেকে গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে উদ্ধার করা হয় মৃত এবং আহতদের। সোমবার মধ্যরাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার রানাঘাটের হবিবপুর এলাকায় ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের (সাবেক ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক) উপর। একটি সব্জিবোঝাই লরি এবং একটি কন্টেনারের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুর্ঘটনা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে। ঘাতক কন্টেনারের চালক এবং মালিকের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের ইসলামপুর থানা এলাকা থেকে একটি সব্জিবোঝাই লরি কলকাতার দিকে যাচ্ছিল। উল্টো দিকের লেন ধরে কলকাতা থেকে কৃষ্ণনগরের দিকে যাচ্ছিল একটি কন্টেনার। হবিবপুর পেট্রোল পাম্পের কাছে আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারের রেলিং ভেঙে উল্টো দিকের লেন থেকে ছুটে এসে সব্জিবোঝাই লরিতে ধাক্কা মারে কন্টেনারটি। মুখোমুখি সংঘর্ষের অভিঘাতে কন্টেনারের ইঞ্জিনটি কেবিন-সহ ছিটকে পড়ে রাস্তার পাশের নয়নজুলিতে। কন্টেনারের মূল অংশটি উল্টো দিকের রাস্তায় উল্টে যায়। সব্জিবোঝাই লরি ও পণ্যবোঝাই কন্টেনারের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়ে-মুচড়ে যায় সব্জিবোঝাই লরিটি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রানাঘাট ও শান্তিপুর থানার পুলিশ। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। গ্যাস কাটার এনে ইঞ্জিনের অংশ কেটে উদ্ধার করা হয় সব্জিবোঝাই লরির চালক এবং অন্য দু’জনকে। স্থানীয়দের দাবি, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে গাড়ির চালকের পাশের আসনে বসে থাকা অন্য এক ব্যক্তির। সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তিই ট্রাকের মালিক। তাঁর নাম কালু শেখ। বয়স হয়েছিল ৪৭ বছর। অন্য দিকে, অতি সঙ্কটজনক অবস্থা চালক এবং সহকারী চালকের।
মৃত ব্যক্তির আত্মীয় ফরজ শেখ বলেন, ‘‘পুলিশের কাছ থেকে যেটুকু জানতে পেরেছি, কন্টেনার ও আমাদের লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনাস্থলেই গাড়ির মালিক, আমার ভাই কালু শেখের মৃত্যু হয়। খালাসির অবস্থা একটু ভাল হলেও, চালকের অবস্থা খুব খারাপ বলে শুনছি।’’ রানাঘাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রবীর মন্ডল বলেন, “খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছই। দ্রুততার সাথে উদ্ধারকাজ চালানো হয়। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’