নতুন কিপ্যাড ফোন কিনে ‘অভিমানী’ তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা বললেন শুধু ‘দিদি’ মমতার ফোন নম্বরই সেভ থাকবে। —ফাইল চিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে সিবিআই তাঁর দু’টি মোবাইল ফোনই বাজেয়াপ্ত করেছে। ঠিক তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নতুন মোবাইল এবং সিম কার্ড কিনলেন তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা। তবে এ বার আর ‘স্মার্টফোন’ নয়, ‘কিপ্যাড’ ফোনই পছন্দ করলেন তৃণমূল বিধায়ক। নতুন ফোন হাতে নিয়েও অভিমানী কথা বলতে শোনা গেল তাপসকে। আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, ‘‘দলের মধ্যে শুধুমাত্র দিদির নম্বরই ‘সেভ’ রাখব। আর বাকি সব ফোন নম্বর সাধারণ মানুষের।’’
বস্তুত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর নাম জড়ানোর পরই দলের একাংশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেন তাপস। যে কারণেই নতুন কেনা ফোনে তৃণমূল নেত্রী মমতা ছাড়া দলের আর কারও নম্বর ‘সেভ’ করে রাখবেন না বলে জানিয়েছেন তাপস।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে তাপসের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করছে সিবিআই। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ৩টের পর থেকে টানা তল্লাশি চলে তাপসের কড়ুইগাছির বাড়ি এবং অফিসে। বেতাই কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতিও তাপস। সেখানেও তল্লাশি অভিযানে গিয়ে সিবিআই বিভিন্ন নথি উদ্ধার করেছে বলে খবর। তারই পাশাপাশি তদন্তের স্বার্থে বিধায়কের ব্যবহৃত দু’টি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারী দল। তাই নতুন ফোন কিনতে বাধ্য হলেন তাপস।
শনিবার একরাশ অভিমান নিয়ে নতুন কেনা ফোনে আনন্দবাজার অনলাইনকে তাপস বলেন, ‘‘দিদি ছাড়া অন্য কাউকেই (তৃণমূলের মধ্যে) আমার প্রয়োজন নেই। আমার লড়াই আমি একাই লড়ব। আর থাকবে সাধারণ মানুষ।’’
প্রায় ২০ কোটি টাকার প্রতারণায় অভিযোগে অভিযুক্ত তাপস। তাঁর এই ‘সস্তা’ ফোন কেনা নিয়ে দলীয় অনুগামীরা বলছেন, অর্থকষ্টে ভুগছেন বিধায়ক। অন্য দিকে, এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। বিজেপির কৃষ্ণনগর উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, ‘‘আর্থিক অনটন না কি সিবিআই তদন্তের ভয়ে তাপসদা কিপ্যাড ফোন নিয়েছেন, সেটাও জানতে হবে।’’