Tapas Saha

‘তাপস আমার বাবার মতো’, দেড় ঘণ্টা বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির পর মন্তব্য তৃণমূল নেত্রী ইতির

প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহার ঘনিষ্ঠ ওই তৃণমূল নেত্রীর বাড়িতে তল্লাশিতে বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়। নেত্রী অবশ্য দাবি করেন, সেগুলো সরকারি প্রকল্পের আবেদনপত্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তেহট্ট শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:০১
Share:

তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত ইতি সরকারের বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। —নিজস্ব চিত্র।

তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা তাঁর ‘বাবার মতো’। তবে নিয়ম-বহির্ভূত কাজ তিনি করেননি। শনিবার তাঁর বাড়িতে প্রায় দেড় ঘণ্টা তল্লাশির পর সিবিআই আধিকারিকরা বেরোনোর পর আনন্দবাজার অনলাইনকে এমনটাই বললেন ইতি সরকার।

Advertisement

ইতি নদিয়ার তেহট্ট ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি। তিনি স্থানীয় বিধায়কের কাছের লোক বলে পরিচিত। শনিবার সকালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিকেরা ইতির বাড়িতে যান। তাঁরা সকাল ১০টা ৪০ মিনিট নাগাদ তৃণমূল নেত্রীর বাড়িতে ঢোকেন। বেরোন বেলা ১২টা ১০ মিনিটে। সিবিআই সূত্রে খবর, নেত্রীর বাড়িতে বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে। যদিও ইতি দাবি করেছেন সেই সব কাগজপত্র বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার আবেদনপত্র। কিন্তু সেগুলোও কেন তাঁর বাড়িতে থাকবে, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ইতি।

তাপসের সঙ্গে কোনও বৈঠকে তাঁর আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়ালকে দেখেছেন কি না, কোনও চাকরিপ্রার্থী তাঁর কাছে এসেছিলেন কি না, এমন বেশ কিছু প্রশ্ন ওই তৃণমূল নেত্রীকে করা হয় বলে সিবিআই সূত্রে খবর। পাশাপাশি তাপসের বাড়িতে উদ্ধার হওয়া বেশ কিছু নথি ইতিকে শনাক্ত করার জন্য দেওয়া হয়।

Advertisement

স্থানীয় একটি স্কুলে পোশাক সরবরাহ করেন ইতি। সেই বরাত কী ভাবে তিনি পান, সে সম্পর্কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সিবিআই আধিকারিকেরা বেরিয়ে যাওয়ার পরে আনন্দবাজার অনলাইনকে ইতি বলেন, ‘‘তাপস সাহা আমার বাবার মতো। আমি তৃণমূল দলটা করি। সেই সূত্রে তাঁর সঙ্গে আলাপ। তিনি একাধিক বার আমার বাড়িতে এসেছেন। কিন্তু ওই পর্যন্তই।’’ অন্য দিকে, পোশাক সরবরাহ নিয়ে প্রশ্নে তৃণমূল নেত্রীর ব্যাখ্যা তাঁর একার কাজ নয় সেটি। কাজটি করে স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী। এবং টেন্ডার দিয়েই সেই কাজ পেয়েছেন তাঁরা। তিনি জানান, সিবিআই আধিকারিকদের তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। তাঁদের প্রয়োজন হলে আবার করবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement