ঘোড়া বিক্রির প্রশ্ন নিয়েই ভোট 

ডামাডোলের এই বাজারে ‘ঘোড়া কেনাবেচা’র একটা ইশারা দিয়ে রাখছেন ‘বিদ্রোহী’ কাউন্সিলরেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডোমকল শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৯ ০০:৩৬
Share:

—ফাইল চিত্র।

রাত পোহালেই ডোমকল পুরসভায় তলবি সভা, তার আগে নিজেদের কৌশল নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ উভয় পক্ষের নেতারা।

Advertisement

তবে, ডামাডোলের এই বাজারে ‘ঘোড়া কেনাবেচা’র একটা ইশারা দিয়ে রাখছেন ‘বিদ্রোহী’ কাউন্সিলরেরা। তাঁদের অনেকেরই আশঙ্কা, শেষ পর্যন্ত কি দাবার চালে কিস্তিমাত করবেন সৌমিক। এক বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলর বলছেন, ‘‘সে গুড়ে বালি, ওঁর কাছে কাটমানির অনেক টাকা আছে ঠিকই। কিন্তু সেই টাকায় ডোমকলকে কিনতে পারবেন না। এখন আমাদের মর্যাদা রক্ষার লড়াই। ডোমকলকে লুটেরার হাত থেকে রক্ষা করারও লড়াই। সৌমিকের কোনও কৌশল কাজে লাগবে না।’’

কেবল কথার কথা নয়, সৌমিক যাতে কেনাবেচার সুযোগ না পান, সে জন্য বুধবার সকাল থেকে গোপন ডেরায় জড়ো হয়েছেন কাউন্সিলরেরা। বিরোধীদের মুখ সালামতুল্লা, বলছেন, ‘‘সৌমিকের কোনও কৌশল কাজে আসবে না। ওঁর এখন শনির দশা চলছে। এখন ওঁর গঙ্গার ওপারে যাওয়াটুকুই বাকি।’’

Advertisement

সৌমিক অবশ্য এখনই আগ বাড়িয়ে কিছু বলতে চাইছেন না। তাঁর কথায়, ‘‘কে কী বলছেন তাতে কান দিয়ে লাভ নেই। আমি দলের সৈনিক, দলের অনুশাসন মেনে চলব। আর দুর্নীতি নিয়ে যাঁরা এখন নানা কথা বলে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছেন তাঁদের অভিযোগের উত্তর দিতে রুচিতে বাধে।’’

এত আঁটোসাঁটো প্রস্তুতির মাঝেও কোথাও যে ফস্কা গেরো থাকতে পারে, এ আশঙ্কা রয়ে গিয়েছে জোট বাঁধা পনেরো জন কাউন্সিলরের মধ্যেও। তাঁদেরই এক জন বুধবার বলছেন, ‘‘দেখুন আমরা এক সঙ্গে হাতে হাত ধরে আছি। এটা বাহ্যিক চিত্র, কার মনে কী আছে তা কিন্তু এখনও জানি না আমরা!’’

তা হলে কি কোথাও একটা পাড় ভাঙছে? সৌমিকের শিবির তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করছে না। তবে সৌমিক অনুগামী এক নেতা বলছেন, ‘‘দেখুন খেলার নাম রাজনীতি। কখন বৃষ্টি, কখন রোদ্দুর কেউ বলতে পারে!’’

এই হেঁয়ালির মধ্যে, পারস্পারিক সন্দেহের মধ্যে, এ ওকে চোখের চাপা চাহনিতে মেপে আজ, বৃহস্পতিবার পুরসভায় যাবেন। তার পর? প্রশ্নটা ঘুরছে সেই অনিশ্চয় আবহেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement