রানাঘাট মহকুমা হাসপাতাল। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যের বেশ কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজ ও একাধিক জেলা, মহকুমাস্তরের হাসপাতালকে নিয়ে হওয়া জাতীয় স্বাস্থ্যমিশন মূল্যায়ন পর্ব চালায়। তাতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে রাজ্যে প্রথম স্থান পেল রানাঘাট মহকুমা হাসপাতাল। সেই সঙ্গে মিলল স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ‘লক্ষ্য’ শংসাপত্র।
শুধু রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতাল নয়, জেলার আরও সাত হাসপাতাল ৭০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়ে 'লক্ষ্য' শংসাপত্র পেয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। তৃতীয় স্থানে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল।
হাসপাতালের লেবার রুম ও ম্যাটারনিটি অপারেশন থিয়েটারের মানোন্নয়নকে সামনে রেখে কেন্দ্রের তরফে হাসপাতালগুলির মূল্যায়ন করা হয়। চলতি বছরের ১৮ মে রানাঘাট হাসপাতালে সেই মূল্যায়নের কাজ করেন কেন্দ্রের স্বাস্থ্য প্রতিনিধিরা। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয় তার ফল। তাতে রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতাল ৯৬.৮৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। এজন্য জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের তরফে পুরস্কার হিসেবে হাসপাতালকে আগামী তিন বছরের জন্য প্রতি বছর চার লক্ষ টাকা দেবে কেন্দ্র। ওই অর্থ হাসপাতালে উন্নয়নে ব্যবহৃত হবে।
‘লক্ষ্য’-র অর্থ— লেবার রুম কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট ইনিসিয়েটিভ। হাসপাতালগুলির লেবার রুম ও ম্যাটারনিটি ওটির মানোন্নয়ন, প্রসূতি মা ও সদ্যোজাতদের উন্নত পরিষেবা দেওয়া, প্রসূতি মা ও সদ্যোজাতের মৃত্যুর হার কমানোর জন্যই মূলত কেন্দ্রের এই মূল্যায়ন কর্মসূচি। রাজ্যের ছোট-বড় হাসপাতালগুলিকে প্রথমে ইন্টারনাল, পরবর্তীতে জেলা ও রাজ্যস্তরে মূল্যায়ন করা হয়। ক্রমাগত যে সকল হাসপাতাল রাজ্যস্তরে ভাল ফল করতে থাকে তাদের চূড়ান্ত মূল্যায়নের জন্য জাতীয় স্তরে মনোনীত করা হয়। সে ক্ষেত্রে ওই মূল্যায়নের কাজ করে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল।
তবে এই প্রথম নয়। বছর তিনেক আগেও এই শংসাপত্র পেয়েছিল রানাঘাট হাসপাতাল।সেবার ছিল ৯৩ শতাংশ নম্বর। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় স্তরের মূল্যায়নের কাজ মূলত ভিন্ রাজ্য থেকে আসা প্রতিনিধি দলের সদস্যরা করেন। মূলত হাসপাতালের রোগীদের অধিকার, পরিষেবা, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি বিষয়ের উপর মূল্যায়ন হয়।
রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতাল সুপার প্রহ্লাদ অধিকারী বলেন, "রাজ্যস্তরের মূল্যায়নে আমরা এ বছর সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছি। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সিং স্টাফ ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীদের সম্মিলিত চেষ্টায় আমরা ‘লক্ষ্য’ শংসাপত্র পেয়েছি। এজন্য আমরা জেলা ও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে সব রকম সহযোগিতা পেয়েছি।"