—প্রতীকী ছবি।
রানাঘাটে গয়নার দোকানে ডাকাতির ঘটনার বিচার শুরু হচ্ছে আজ, শনিবার। ইতিমধ্যেই রানাঘাট আদালতে প্রায় নয়শো পৃষ্ঠার চার্জশিট আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ। এর পর আরও তিনটি অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেওয়া হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এখনও বেশ কিছু ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ বিষয়ে নিশ্চত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন তদন্তকারীরা। রানাঘাট আদালতের আইনজীবীদের একাংশের দাবি, এই ধরনের ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণের উপর ভিত্তি করে মামলা শুনানি সাম্প্রতিক কালে বিরল।
গত ৮ নভেম্বর রানাঘাটে গয়নার দোকানে ডাকাতির ঘটনার ৭২ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। ডাকাতি, খুনের চেষ্টা, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া ছাড়াও অস্ত্র আইনের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মোট ৬৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। তবে তিন অভিযুক্ত এখনও পর্যন্ত অধরা। তাদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলছে।
গত ২৯ অগস্ট রানাঘাটে মিশন রোডের পাশে থাকা একটি গয়নার বিপণিতে ডাকাতি হয়। ওই দিনই পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম কুন্দনকুমার যাদব, রাজুকুমার পাসোয়ান, ছোট্টু পাসোয়ান, মণিকান্ত যাদব ও রিক্কি পাসোয়ান। ধৃতদের প্রত্যেকের বাড়ি বিহারে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে মণিকান্তর। তবে তার নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। পুলিশের দাবি, যে তিন অভিযুক্ত এখনও পর্যন্ত অধরা তাদের বিহারের ঠিকানা পাওয়া গেলেও, সেই ঠিকানায় তারা নেই।
পুলিশের দাবি, ধৃতেরা ডাকাতির কথা স্বীকার করে নিয়েছে। ডাকাতির সময়ে বিভিন্ন আসবাবপত্রে তাদের আঙুলের ছাপ ইতিমধ্যেই ফরেনসিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। ধৃতেরা যে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি চালিয়েছিল, তা-ও উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া সোনার দোকানের ক্লোজ় সার্কিট ক্যামেরা ও রানাঘাটের মিশন রোডের পাশে থাকা বেশ কয়েকটি দোকানে ক্লোজ় সার্কিট ক্যামেরা থেকে পাওয়া ভিডিয়ো ফুটেজ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞদের কাছে দেওয়া হয়েছে। সেই সমস্ত রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। সেগুলি হাতে এলেই অতিরিক্ত চার্জশিট দাখিল করা হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।