আদালত থেকে উপ-সংশোধনাগারের পথে কুন্দন ও তার সঙ্গীরা। বুধবার রানাঘাটে। ছবি: সুদেব দাস
রানাঘাটে গয়নার দোকানে ডাকাতির মামলায় ধৃতদের ফের ১৪ দিন জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ ধৃত চার দুষ্কৃতীকে তাদের রানাঘাট আদালতে হাজির করা হয়। এত দিন তারা জেল হেফাজতেই ছিল। বিচারক মহম্মদ নূরজামান খান তাদের আগামী ১১ অক্টোবর ফের হাজির করতে বলেছেন।
সূত্রের খবর, প্রথম পর্বে ১৪ দিন জেল হেফাজতে থাকাকালীন কুন্দন ও তার সঙ্গীদের জেরা করে গিয়েছেন রায়গঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিকেরা। উপ-সংশোধনাগারের ভিতরে কুন্দনকে একা একটি সেলে রাখা হয়েছে। বাকি তিন দুষ্কৃতী পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কুন্দন একাধিক বার বিহারে তার গ্রামের বাড়িতে ফোন করলেও কেউ ফোন ধরেনি।
গত ২৯ অগস্ট বেলা ৩টে নাগাদ রানাঘাটের মিশন রোডে একটি নামি গয়নার বিপণিতে ক্রেতা সেজে হানা দেয় আট ডাকাত। তারা লুটপাট সেরে পালিয়ে যাওয়ার আগেই পুলিশ চলে আসে। প্রকাশ্য রাস্তায় গুলির লড়াইয়ের পর রাতের মধ্যেই পাঁচ ডাকাত ধরা পড়ে। গুলিতে জখম এক দুষ্কৃতী পরে মারা যায়। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে কুন্দনকুমার যাদব, যে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে কয়লা কারবারি রাজু ঝা খুনের মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। এর আগে পুলিশ তার নাগাল পায়নি।
এ দিন সকালে প্রিজ়ন ভ্যান আদালতের সামনে থামতেই সাদা টি-শার্ট পরে নামতে দেখা যায় কুন্দনকে। পুলিশের গুলিতে জখম আর এক দুষ্কৃতী ছোটু পাসোয়ান তার কাঁধে ভর দিয়ে আদালতে ঢোকে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর ধৃতদের হয়ে আইনজীবী বাসুদেব মুখোপাধ্যায় ও চন্দন দে জামিনের আবেদন করলেও এ দিন কোনও আইনজীবী হাজির ছিলেন না।
সরকার পক্ষের বিশেষ আইনজীবী অপূর্বকুমার ভদ্র বলেন, "পাঁচ অভিযুক্তের মধ্যে মণিকান্ত যাদবের মৃত্যু হয়েছে। অপর চার দুষ্কৃতী কুন্দনকুমার যাদব, রাজুকুমার পাসোয়ান, রিক্কি পাসোয়ান ও ছোটু পাসোয়ানকে এ দিন আদালতে হাজির করা হয়।”