সংগঠন গোছাতে দাওয়াই রাজীবের

একই ভাবে প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় দশ জন সক্রিয় কর্মীর নামও দিতে বলেছেন রাজীব। শর্ত একটাই, তাঁদের সঙ্গে মানুষের নিবিড় সম্পর্ক থাকতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৯ ০০:০৬
Share:

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

বুথস্তরের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। মানুষের সঙ্গে তৈরি করতে হবে নিবিড় সম্পর্ক। নদিয়া জেলার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দলের নেতাদের এমনটাই বলে আসছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার নির্দিষ্ট করে কয়েকটি নির্দেশিকা দিয়ে গেলেন তিনি। সেই সঙ্গে স্পষ্ঠ করে দিয়ে গেলেন, এই নির্দেশিকা বাস্তবায়িত করতে গিয়ে কোনও ভাবেই গোষ্ঠী রাজনীতি করা যাবে না। বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগর পুরসভার দ্বিজেন্দ্র মঞ্চে দলের জেলা পরিষদ সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ-সভাপতি, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান ও পুরপ্রধানদের নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বুথস্তরের সংগঠন শক্তিশালী করতে প্রতিটি বুথ থেকে দশ জন সক্রিয় কর্মীর নাম পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নামের সঙ্গে ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং একটি করে ছবিও পাঠাতে হবে। দশ জনের মধ্যে যাতে সংখ্যালঘু, মহিলা ও তফসিলি জাতি ও জনজাতির প্রতিনিধি থাকেন, তা-ও দেখতে হবে।

Advertisement

একই ভাবে প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় দশ জন সক্রিয় কর্মীর নামও দিতে বলেছেন রাজীব। শর্ত একটাই, তাঁদের সঙ্গে মানুষের নিবিড় সম্পর্ক থাকতে হবে। তাঁদেরও নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর ও ছবি পাঠাতে হবে যাতে ওই কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা যায়। যে সব এলাকায় তৃণমূলের বিধায়ক নেই, সে সব এলাকায় জেলা সভাপতি ও ব্লক সভাপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে নামের তালিকা তৈরি করে পাঠাতে হবে। তবে এই তালিকা করতে গিয়ে নেতারা যেন নিজেদের ঘনিষ্ঠ বা আত্মীদের নাম না ঢোকান এবং প্রকৃত সক্রিয় কর্মীরাই তাতে ঠাঁই পান, সে সম্পর্কেও সতর্ক করেছেন তিনি। জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, সকলের উপরেই নজর রাখা হচ্ছে। অনেকের পদস্খলন হয়েছে, মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন তাঁরা। মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক তৈরির জন্য সকলকে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

জেলা ভাগ হওয়ার পরে এখনও পর্যন্ত রানাঘাট বা কৃষ্ণনগর কোনও সাংগঠনিক জেলাতেই কমিটি গঠন করা হয়নি। খুব দ্রুত সেই কমিটি গঠন করা হবে বলেও তিনি এ দিন জানিয়ে দেন। সেই সঙ্গে দুটো জেলা মিলিয়ে একটা ‘কোর কমিটি’ তৈরি করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। সভা শেষে রাজীব দাবি করেন, “লোকসভা ভোটের পরে অনেকেই মনে করছেন, তৃণমূল বুঝি দুর্বল হয়ে পড়ছে। কিন্ত মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। তৃণমূল এখনও একই রকম শক্তিশালী।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement