প্রতারণার অভিযোগে ধৃত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার

হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৪ অক্টোবর ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের তরফে ৩০ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয়।

Advertisement

বিমান হাজরা

শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৪৯
Share:

শ্যামলকান্তি দাস। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়

আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে সোমবার দুপুরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের হাওড়া শাখার চিফ ম্যানেজারকে মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম শ্যামলকান্তি দাস। বাড়ি ত্রিপুরায়। বছর দেড়েক আগে তিনি ওই ব্যাঙ্কেরই একটি ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে বদলি হয়ে যান মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ শাখায়। ওই ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, আর মাত্র চার মাস চাকরি রয়েছে তাঁর।

Advertisement

হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৪ অক্টোবর ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের তরফে ৩০ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, জাল নথিপত্রের ভিত্তিতে হুগলির উত্তরপাড়ায় সাগর গুপ্ত নামে এক ব্যক্তিকে ১৩৯৯ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট কেনার জন্য ঋণ পাইয়ে দেন ধৃত ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। কিন্তু বাস্তবে সবটাই ভুয়ো। এ নিয়ে হাওড়া থানায় এফআইআর দায়ের করেন ওই ব্যাঙ্কের হাওড়া শাখার বর্তমান ম্যানেজার আদিত্য কুমার। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশ রঘুনাথগঞ্জ থেকে শ্যামলবাবুকে গ্রেফতার করে।

ধৃত ব্যক্তি এক সময়ে হাওড়া ও হুগলির দায়িত্বে থাকা ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শ্রীরামপুর অফিসে চিফ ম্যানেজার পদে ছিলেন। সেখান থেকেই তিনি ওই দুই জেলার গ্রাহকদের ঋণ মঞ্জুর করতেন। ওই দায়িত্বে থাকার সময়েই তিনি ফ্ল্যাট কেনার জন্য সাগর গুপ্ত নামে এক ব্যক্তিকে ৩০ লক্ষাধিক টাকা ঋণ দেন। সেই ঋণ সংক্রান্ত নথি বলছে, ২০১৭ সালের অগস্ট মাসে ডানকুনি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি ফ্ল্যাট কেনেন সাগর গুপ্ত। কিন্তু পরে ব্যাঙ্কের তদন্তে ধরা পড়ে, ভুয়ো নথি এবং ভুয়ো ফ্ল্যাট দেখিয়ে ওই ঋণ নেওয়া হয়েছে। এর পরেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। পুলিশ তদন্তে নেমে প্রথমেই মূল অভিযুক্ত সাগর গুপ্তকে হুগলির উত্তরপাড়ার ভদ্রকালি থেকে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সোমবার রঘুনাথগঞ্জে পৌঁছয় হাওড়া থানার একটি দল। শ্যামলবাবুকে গ্রেফতার করা হয় সেখান থেকেই।

Advertisement

তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় রঘুনাথগঞ্জ থানায়। সেখানে ধৃত ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমাকে পুলিশ কেন গ্রেফতার করেছে, তা বুঝতে পারছি না। ব্যাঙ্কের কোনও আর্থিক তছরুপের সঙ্গে আমি জড়িত নই।”

হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ধৃত ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে আরও কয়েক জনকে এই ভাবে ঋণ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। প্রতিটি ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এই আর্থিক প্রতারণার সঙ্গে ব্যাঙ্কের আর কেউ যুক্ত কি না, তা-ও দেখা হচ্ছে।’’ এ দিন দুপুরে রঘুনাথগঞ্জ থেকে ধৃতকে নিয়ে পুলিশের দলটি হাওড়ায় আসে। আজ, মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে তোলার কথা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement