বিজেপি পুর প্রতিনিধির বাড়ির সামনে বিক্ষোভ। সোমবার শান্তিপুরে। —নিজস্ব চিত্র।
পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ ছিল। সোমবার তাঁদের সেই ক্ষোভের মুখে পড়লেন শান্তিপুরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির পুর প্রতিনিধি মহানন্দ সরকার। তাঁর বাড়ির সামনে দিন বেশ কিছু ক্ষণ বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা। কিছু ক্ষণের জন্য বন্ধও করে দেওয়া হয় সংযোগ দেওয়ার কাজ। পরে অবশ্য সমস্যা মেটে।
শান্তিপুর শহরের মধ্যেই একাধিক জায়গায় পরিস্রুত পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার কাজ চলছে। সোমবার শহরের প্রান্তে ১ নম্বর ওয়ার্ডে এই জলের সংযোগ দেওয়ার কাজ করার কথা স্থির হয়েছিল আগেই। একাংশের অভিযোগ, সোমবার সকালে বেছে বেছে কয়েকটি বাড়িতে এই জলের সংযোগ দেওয়ার কাজ শুরু করা হয়। স্থানীয়দের একাংশ দাবি করেছে, পুরসভার মূল জলের পাইপ লাইন যেখান দিয়ে যায়, সেখান থেকে কুড়ি ফুট দূরত্বের মধ্যে যাঁদের বাড়ি রয়েছে, তাদের সংযোগ না দিয়ে পাশের পাড়ায় যেখানে সংযোগ দেওয়া হচ্ছে, তার দূরত্ব মূল পাইপ লাইনের চেয়ে প্রায় ৩০ ফুটের মতো। বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, স্থানীয় পুর প্রতিনিধির ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণেই সেখানকার পানীয় জলের সংযোগের কাজ আগে করা হচ্ছে। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা স্থানীয় পুর প্রতিনিধি বিজেপির মহানন্দ সরকারকে ঘিরে তাঁর বাড়ির সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পাশাপাশি, বন্ধ করানো হয় পানীয় জলের সংযোগল দেওয়ার কাজও।
স্থানীয় পুর প্রতিনিধির অবশ্য দাবি, এ দিন সকালে তিনি একটি কাজে পুরসভায় যান। সেই সময়ে এলাকায় কর্মীরা পানীয় জলের সংযোগের কাজ করতে আসে। এ দিন ওই ওয়ার্ডে অন্যত্র কাজ করার কথা ছিল বলে দাবি তাঁর। কিন্তু এ দিন সকালে পুর প্রতিনিধি বাড়ি না থাকায় কাজ করতে আসা শ্রমিকেরা তাঁকে বাড়ি গিয়ে পাননি। পুর প্রতিনিধির স্ত্রীও তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারেননি বলে দাবি। এর পরে পুর প্রতিনিধির স্ত্রীর সঙ্গে ওই শ্রমিকেরা কথা বললে তিনি সামনের একটি জায়গা দেখিয়ে দেন। সেখানেই জলের সংযোগের কাজ শুরু হয়। এর পরেই ঝামেলা শুরু হয়। পরে পুর প্রতিনিধি এবং পুর কর্তৃপক্ষ স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে পাশের এলাকাতেও পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার কাজ শুরু হয়।
শান্তিপুরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির পুর প্রতিনিধি মহানন্দ সরকার বলেন, ‘‘একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে তাঁদের সঙ্গে কথা বলি। বিষয়টা মিটেও গিয়েছে। আশপাশের এলাকাতেও জলের সংযোগ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে এ দিনই।’’
আর শান্তিপুরের পুরপ্রধান তৃণমূলের সুব্রত ঘোষ বলেন, ‘‘বিষয়টা জানার পরেই আমাদের কর্মীরা বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। ওখানে সব জায়গাতেই জলের সংযোগ দেওয়া হবে ধীরে ধীরে। সব জায়গায় কাজ চলছে। ওখানেও কাজ শুরু হয়েছে।’’