—প্রতীকী চিত্র।
১০০ দিনের কাজের বকেয়া মজুরির দাবি জানিয়েছেন ১,৪৫৮ জন। অথচ, জব কার্ড প্রাপকের সংখ্যা ১,২৫৩। এমনই অভিযোগ নদিয়ার বারাসতের পঞ্চায়েত প্রধান শেফালি বিশ্বাসের। যদিও গ্রামবাসীদের দাবি, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে প্রকৃত শ্রমিকেরা মজুরি না পেলেও, প্রধানের ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে হাজার হাজার টাকা। মজুরি বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন। নদিয়ার রানাঘাট ব্লকের বারাসত পঞ্চায়েতের এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, বেশ কয়েক বছর আগে তাঁরা ১০০ দিনের কাজ করেছিলেন। অথচ রাজ্য সরকার ঘোষিত মজুরি প্রাপকদের তালিকায় তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা নেই। যার ফলে তাঁরা প্রাপ্য টাকা পাচ্ছেন না। তাঁদের দাবি, কাজ না করেও প্রধান-ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।
বিক্ষোভকারীদের এক জন রসময় মণ্ডলের কথায়, “৮০ থেকে ৯০ দিন কাজ করেও মজুরি প্রাপকদের তালিকায় নাম নেই আমাদের। কিন্ত এক দিনও কাজ না করেও পুরো ১০০ দিনের টাকা পাচ্ছেন অনেকে পার্টির (তৃণমূল) কর্মীরা।”
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান শেফালি দাবি করেছেন, এখানেও রয়েছে ‘বিরোধীদের রাজনীতি।’ তিনি বলেন, “যত জনের জব কার্ড রয়েছে তার থেকেও বেশি জন টাকার জন্য আবেদন করেছেন। কেন্দ্র যখন টাকা দেয়নি, কেউ কিছু বলেনি। মুখ্যমন্ত্রী বঞ্চিত শ্রমিকদের টাকা দিতেই বিরোধীদল হট্টগোল পাকানোর চেষ্টা করছে।”
অতীতে আবাস দুর্নীতিতেও নাম জড়িয়ে ছিল বারাসাত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের। পাকা ঘর থাকা সত্ত্বেও প্রধানের পরিবারের একাধিক সদস্যদের আবাস তালিকায় নাম থাকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। ১০০ দিনের টাকা বণ্টন ঘিরেও জব কার্ড প্রাপকদের দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ হলেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে আবার সরব হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের কটাক্ষ, “তৃণমূল আর দুর্নীতি সমার্থক শব্দ। ভোটের কর্মীদের লুটেপুটে খাওয়ার জন্যই ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়ার স্কিম নিয়েছে তৃণমূল। আসলে এটা তৃণমূলের দলীয় তহবিলে নিজস্ব খরচ।”