Murshidabad

প্রায় এক মাস পিছিয়ে যাচ্ছে স্থায়ী সমিতি গঠন ও কর্মদক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়া

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২২ অগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৩ ২৩:৫০
Share:

—প্রতীকী ছবি।

মুর্শিদাবাদে জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রায় এক মাস পিছিয়ে যাচ্ছ স্থায়ী সমিতি গঠন ও কর্মদক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়া। আগামী ২৩ অগস্ট জেলা পরিষদের সমিতি গঠন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার কথা থাকলেও বিধানসভা অধিবেশনের কারণেই তা পিছিয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর করা হচ্ছে বলে জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে। স্থায়ী সমিতি ও কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ার কারনে পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিরোধীরা। সভাধিপতি ও সহ-সভাপতি নাগরিক পরিষেবা সচল ও স্বাভাবিক রাখবে বলে পাল্টা দাবি তৃণমূলের।

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২২ অগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন। তার ফলে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না পদাধিকারবলে স্থায়ী সমিতির ‌‌সদস্য জেলার বিধায়কেরা। সেই কারণেই স্থায়ী সমিতি গঠন এবং কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রায় এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিধায়কদের অনুপস্থিতির কারণ দেখিয়ে স্থায়ী সমিতি ও কর্মদক্ষ গঠন প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ায় নাগরিক পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে আশঙ্কা বিরোধী দলগুলির। কংগ্রেসের মনোজ চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘তৃণমূল দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব সামলাতে কিছু দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। নাগরিক পরিষেবায় ব্যাপক প্রভাব পড়বে।’’

এ প্রসঙ্গে, মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘বিধায়কদের অনুপস্থিতিতে স্থায়ী সমিতি গঠন প্রক্রিয়ায় কিছু আইনি সমস্যা আছে। সাময়িক ভাবে কিছু দিন পিছিয়ে গেলেও পরিষেবার সচল থাকার ব্যাপারে বর্তমান সভাধিপতি ও সহ-সভাপতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।’’

Advertisement

৭৮ আসন বিশিষ্ট মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদে এ বছর একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বোর্ড দখল করেছে তৃণমূল। গত ১৪ অগস্ট সভাধিপতি নির্বাচন এবং সহকারী সভাধিপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। সভাধিপতি পদে তৃণমূলের রুবিয়া সুলতানা এবং সহকারী সভাধিপতি পদে আতিবুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী ২৩ অগস্ট মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি গঠন এবং ৩০ অগস্ট কর্মাধ্যক্ষ মনোনয়ন হওয়ার কথা ছিল। জেলা পরিষদের ন’‌টি স্থায়ী সমিতির প্রত্যেকটিতে জেলা পরিষদের পাঁচ জন করে সদস্য ছাড়াও জেলার বিধায়ক, সাংসদ এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা সদস্য হিসাবে থাকেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement