প্রত্যয় ভট্টাচার্য। নিজস্ব চিত্র।
দুপুর গড়াতেই ভাগীরথীর পাড়ে ধীরে ধীরে জড়ো হচ্ছিলেন বাসিন্দারা। বিকেল চারটের কিছু আগে প্রথম কোনও প্রতিযোগীকে সমাপ্তির জায়গায় এসে পৌঁছতে দেখেই দর্শকদের সমবেত চিৎকার। রাত পর্যন্ত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান চলেছে। রবিবার এ ভাবেই উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে শেষ হল ৮১ এবং ১৯ কিমি সাঁতার প্রতিযোগিতা।
এই প্রতিযোগিতা এ বার ৭৮ বছরে পড়ল। ৮১ কিমি দীর্ঘ সাঁতার প্রতিযোগিতায় প্রথম হলেন প্রত্যয় ভট্টাচার্য। গতবারও এই প্রতিযোগিতার ৮১ কিমি বিভাগে তিনি প্রথম হয়েছিলেন। দ্বিতীয় তপু সরকার এবং তৃতীয় পার্থ সন্দীপ হাতাঙ্কার। ১৯ কিমিতে মহিলাদের মধ্যে প্রথম বিশাখা ধারা। পুরুষদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন গৌরব কাবেরী। ৮১ কিমিতে প্রথম প্রত্যয় ১০ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড সময় নিয়েছেন। বহরমপুরের বাসিন্দা তপু সরকার সময় নিয়েছেন ১১ ঘণ্টা ৪২ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড। বহরমপুর সুইমিং ক্লাবের হয়ে তিনি নেমেছিলেন। ১৯ কিমিতে মহিলাদের প্রথম স্থানাধিকারী বিশাখা সাঁতার শেষ করতে সময় নেন ২ ঘণ্টা ২২ মিনিট ৪২ সেকেন্ড। অন্যদিকে, ২ ঘণ্টা ১৪ মিনিট ২৫ সেকেন্ড সময় নিয়েছেন গৌরব।
রবিবার আহিরণ ঘাট থেকে ৮১ কিমির সাঁতার শুরু হয়। ১৯ কিমি শুরু হয় জিয়াগঞ্জের সদরঘাট থেকে দুপুরে। বহরমপুরের উমাসুন্দরী ঘাটে দু’টি বিভাগের প্রতিযোগিতা শেষ হয়। প্রথম হওয়ার পর প্রত্যয় বলেন, ‘‘গত বার প্রথম হয়েছিলাম। ভাল লাগছে। তবে বিদেশি সাঁতারুরা না আসায় মনটা একটু খারাপ।’’
জেলা সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দেবেন্দ্রনাথ দাস বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে আরও আরও বড় আকারে প্রতিযোগিতা আয়োজন
করা হবে।’’