Potato Price high

আলুর দাম ছুঁল ৪০ টাকা

আলুর কারবারিদের দাবি, চাষির ঘরে আলু নেই। আলু যা রয়েছে তা বিভিন্ন হিমঘরে। অভিযোগ, সেখানে চাষির তুলনায় আলুর কারবারি, মহাজনদের আলু মজুত রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হরিহরপাড়া শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৪ ০৮:৪৪
Share:

মহার্ঘ্য আলু। হরিহরপাড়ায়। নিজস্ব চিত্র।

আলু ব্যবসায়ী, হিমঘর মালিকদের কর্মবিরতির জেরে প্রথম দিনেই আলুর দাম বাড়ল কেজি প্রতি প্রায় পাঁচ টাকা। ৩৫ টাকা কেজি থেকে এক লাফে আলুর দাম বেড়ে হল ৪০ টাকা কেজি। খুচরো বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারি বাজারে ১৪৩০ টাকার ৫০ কেজি আলুর প্যাকেট কিনতে হচ্ছে ১৬০০ টাকায়।

Advertisement

প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী ও হিমঘর মালিক সংগঠন সোমবার থেকে কর্মবিরতি বা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। আর সোমবার থেকেই চড়তে শুরু করেছে আলুর দাম। চন্দ্রমুখী বা জ্যোতি আলু নয়, উচ্চফলনশীল জাতের সাধারণ আলুও এ দিন জেলার বিভিন্ন হাটে-বাজারে বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা কেজি।

জেলার সদর শহর বহরমপুরের বিভিন্ন বাজার সহ হরিহরপাড়া, নওদা, বেলডাঙা, ডোমকল সহ জেলার বিভিন্ন হাটে-বাজারের ছবিটা ছিল কার্যত একই রকম।

Advertisement

আলুর কারবারিদের দাবি, চাষির ঘরে আলু নেই। আলু যা রয়েছে তা বিভিন্ন হিমঘরে। অভিযোগ, সেখানে চাষির তুলনায় আলুর কারবারি, মহাজনদের আলু মজুত রয়েছে। এ দিকে গত প্রায় দু'মাস ধরে আলুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। গত প্রায় দিন আগেও জেলার বিভিন্ন হাটে-বাজারে আলুর দাম ছিল ৩০ টাকা কেজি। প্রায় সপ্তাহ খানেক ধরে সেই আলু খুচরো বাজারে বিক্রি হচ্ছিল ৩৫ টাকা কেজি।

আলু সহ অন্য আনাজের দামও চড়া। দাম নিয়ন্ত্রণে গত কয়েক দিন ধরে প্রশাসনের তরফে টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা বিভিন্ন হাটে-বাজারে অভিযান চালাচ্ছেন। ক্রেতা সাধারণের দাবি, তারপরও দাম কমার তেমন লক্ষণ নেই।

এ দিকে টাস্ক ফোর্সের কড়াকড়ি, বিভিন্ন হিমঘরে টাস্ক ফোর্সের অভিযান, ভিন্ রাজ্য, পড়শি দেশে আলু পাঠাতে গিয়েও সমস্যায় পড়ছেন কারবারিরা। প্রতিবাদে আলু ব্যবসায়ী ও হিমঘর মালিকেরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। ডোমকলের এক হিমঘর মালিক আব্দুল আলিম বলেন, “সংগঠনের সিদ্ধান্ত মেনে হিমঘর বন্ধ রয়েছে। বাজারে যা আলু আছে তাতে এই ধর্মঘটে তেমন প্রভাব পড়বে না।”

যদিও সে কথা মানতে নারাজ আলুর কারবারিদের একাংশ। জেলার আলুর কারবারিদের দাবি, জেলার অধিকাংশ আলু আসে কান্দি মহকুমার বিভিন্ন এলাকা থেকে। তা ছাড়া হুগলি, বর্ধমানের বিভিন্ন হিমঘর থেকে আলু আসে। ধর্মঘটের কারণে এ দিন আলু বোঝাই কোনও গাড়ি জেলার হাটেবাজারে আসেনি। একসাদুল শেখ নামে এক আলু বিক্রেতা বলেন, “কাল বেশি দামে কিনতে হলে আরও বেশি দামে বিক্রি করতে হবে।” যদিও কৃষি বিপণন দফতরের আধিকারিকদের দাবি, বাজারে পর্যাপ্ত আলুর জোগান রয়েছে। বিভিন্ন বাজারে নজরদারি চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement