Hariharpara

বিদ্যুৎ গেলে আঁধারে ইঞ্জেকশন দিতে হয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় মাস খানেকের বেশি সময় ধরে লোডশেডিংয়ের সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেই সমস্যায় ভুগছে এই ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রও।

Advertisement

মফিদুল ইসলাম

হরিহরপাড়া শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২৩ ০৭:৫৮
Share:

টর্চ জ্বেলে রোগীকে ইঞ্জেকশন। হরিহরপাড়ার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। নিজস্ব চিত্র

হাসপাতালে নেই জেনারেটর। ইনভার্টার থাকলেও তার ক্ষমতা সীমাবদ্ধ। ফলে দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের। পাশাপাশি সমস্যায় পড়তে হয় চিকিৎসক, সেবিকা থেকে অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদেরও। দীর্ঘদিন ধরে একই সমস্যা অব্যাহত হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।

Advertisement

রবিবার বিকেলে ঝড়বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন এলাকায় ভেঙে পড়ে একাধিক গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি। ফলে হরিহরপাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘন্টার বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় সমস্যায় পড়েন হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগী থেকে চিকিৎসক সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরাও। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগী নাসিমা বিবি বলেন,“দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে নাজেহাল হতে হচ্ছে।”

স্থানীয় এক বাসিন্দা কামরুজ্জামান বলেন, “হাসপাতালে এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। বিদ্যুৎ না থাকলে হাসপাতাল অন্ধকারে ডুবে যায়। একটা গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল বিদ্যুৎ না থাকায় অন্ধকারে ডুবে যায়, এটা মেনে নেওয়া যায় না।” বিদ্যুৎ না থাকলে বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের ভরসা হাতপাখা। অনেক রোগী হাতে স্যালাইনের বোতল নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হন।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় মাস খানেকের বেশি সময় ধরে লোডশেডিংয়ের সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেই সমস্যায় ভুগছে এই ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রও। হাসপাতালের এক সেবিকা বলেন, “দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকলে ইনভার্টারের ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যায়। তখন টর্চ জ্বালিয়ে ইঞ্জেকশন দিতে হয়। জরুরি রোগী আসলে একইভাবে ড্রেসিং করতে হয়, স্যালাইন দিতে হয়।” এই হাসপাতালের চিকিৎসক তথা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মুহাম্মদ সাফি বলেন, “হাসপাতালে জেনারেটর না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয়। গোটা হাসপাতালে ইনভার্টার সংযোগ দেওয়া সম্ভব নয়। লেবাররুম, জরুরি বিভাগ, ভ্যাকসিন রাখার জায়গায় ইনভার্টার রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকলে সমস্যায় পড়তে হয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। রোগী কল্যাণ সমিতিকেও বিষয়টিজানানো হয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement