বিজেপির ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ। শান্তিপুরে। নিজস্ব চিত্র।
রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের গাড়়িতে শনিবার লরির ধাক্কার ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়ালো। এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাঁর উপর হামলার চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন সাংসদ। ঘটনার জেরে জাতীয় সড়়ক অবরোধও করেন বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ অস্বীকার করে একে রাজনৈতিক দৈন্য বলেই ব্যাখ্যা করেছে তৃণমূল।
শনিবার রাতে দিল্লি থেকে ফেরেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। দমদম বিমানবন্দরে নামার পরে গাড়িতে ফিরছিলেন শান্তিপুরের আড়়পাড়়ার বাড়িতে। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের হেলা বটতলার কাছে তাঁর গাড়িতে ধাক্কা মারে একটি লরি। সাংসদ বলেন, ‘‘রাস্তায় যানজট থাকায় আমার গাড়ি ধীরে চলছিল। একটি লরি পিছন থেকে এসে আমার গাড়িকে ক্রমশ বাঁদিকে চেপে দিতে থাকে। আমার দেহরক্ষী চালককে সাবধান করে দেন। তা সত্ত্বেও লরিটি আমার গাড়িকে চাপতে থাকে। তখন আমার চালক গাড়ি রাস্তা থেকে নামিয়ে দেন। তবুও লরিটি আমার গাড়িকে ধাক্কা মেরে চলে যায়।’’ সাংসদের গাড়ি সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে জগন্নাথবাবুর আঘাত লাগেনি। রাতেই ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের সঙ্গে তিনি কথা বলেন।
রবিবার সকালে এই ঘটনার প্রতিবাদে শান্তিপুরের বাগদিয়ার কাছে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিজেপির ৩০ নম্বর মণ্ডলের সদস্যেরা। এ দিনই বিজেপি যুব মোর্চার বারাসত সাংগঠনিক জেলার তরফে বারাসত থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। লরিটিকে আটক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল জগন্নাথের। করোনা পরিস্থিতিতে কোয়রান্টিন সেন্টারে যাওয়ার জন্য তাঁকেও কোয়রান্টিনে যেতে বলেছিল প্রশাসন। এ দিন সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, “আগে থেকেই আমাকে নানা ভাবে শাসক দল হেনস্থা করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কখনও মামলায় জড়িয়ে, আবার কখনও মিথ্যা প্রচার করে এবং চরিত্রহনন করে। আমার উপরে হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কা ছিলই। এ দিন সেটাই ঘটল। এর পিছনে তৃণমূলেরই হাত আছে।” কেন্দ্রের কাছে নিরাপত্তার জন্য তিনি আবেদন করবেন বলে
জগন্নাথ জানান।
এই দাবিকে অলীক কল্পনা বলে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। অভিwযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করে একে রাজনৈতিক দৈন্য বলে ব্যাখা করেছে। জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র বানীকুমার রায় বলেন, “দুর্ঘটনা তো রাস্তায় হতেই পারে। বিজেপি আগাগোড়া মিথ্যার রাজনীতি করে। এটাও তাই। রাজনৈতিক আদর্শের ক্ষেত্রে দৈন্য আছে বলে এ সব করে প্রচারের আলোয় থাকতে চান তাঁরা।”