BJP

Shantipur bypoll: বিজেপি বসে, দৌড়ে বেড়াল বাম-তৃণমূল

দু’বছর আগের লোকসভা ভোটেও শান্তিপুরে বড় ব্যবধানে এগিয়ে ছিল বিজেপি। তবে প্রচারের প্রথম লগ্নে কিছুটা পিছিয়েই রয়েছে তারা।

Advertisement

সম্রাট চন্দ

শান্তিপুর শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২১ ০৫:৫৫
Share:

জলমগ্ন ওয়ার্ডে প্রচারে তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী। নিজস্ব চিত্র।

মাঝে রয়েছে দুর্গাপুজো। প্রার্থী ঘোষণার পরেই তাই দেওয়াল লিখন ও প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বাম এবং তৃণমূল। কর্মিসভায় যেমন জোর দিচ্ছে তৃণমূল, তেমনই মহালয়ার সকালে বিভিন্ন ঘাটে জনসংযোগের সুযোগ হাতছাড়া করেননি বাম বা তৃণমূল কোনও প্রার্থীই। তবে রাত পর্যন্তও প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হওয়ায় এই প্রচারের সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের।

Advertisement

চার মাস আগের বিধানসভা ভোটে তো বটেই, দু’বছর আগের লোকসভা ভোটেও শান্তিপুরে বড় ব্যবধানে এগিয়ে ছিল বিজেপি। তবে প্রচারের প্রথম লগ্নে কিছুটা পিছিয়েই রয়েছে তারা। বুধবার মহালয়ার সকালে যেখানে ভাগীরথীর ঘাটে প্রচুর মানুষ আসেন, সেখানে সাতসকালে গিয়ে জনসংযোগ করেছে বাকি দুই দল। দিন কয়েক ধরেই অধীর আগ্রহে প্রার্থী জানার অপেক্ষায় রয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। কিন্তু এ দিনও দিনভর অপেক্ষা সার হয়েছে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন কাল, ৮ সেপ্টেম্বর। কিন্তু বুধবার রাত পর্যন্তও ধোঁয়াশা না কাটায় অস্বস্তিতেই রয়েছে বিজেপি শিবির। তবে বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অশোক চক্রবর্তীর দাবি, “স্লো বাট স্টেডি উইসন দ্য রেস। আমাদের কর্মীরা নির্বাচনের কাজের মধ্যেই আছেন। আমরাই জিতব।”

প্রার্থী ঘোষণার আগেই শান্তিপুরে কয়েকটি কর্মিসভা করেছিল তৃণমূল। প্রার্থী ঘোষনার পরেও প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে একাধিক কর্মিসভা হয়েছে। কখনও দলের দফতরে, কখনও অন্যত্র। শহরের মধ্যে বিভিন্ন ওয়ার্ডেও নিচুতলার কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দলের জেলা এবং স্থানীয় নেতৃত্ব। জেলার প্রথম সারির সব নেতাদেরই কার্যত দেখা গিয়েছে কোনও না কোনও সময়ে। দলের বিভিন্ন শাখা সংগঠনকেও নামানো হয়েছে সমান ভাবে। রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, জেলা সভানেত্রী রত্না ঘোষ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু, সহ-সভাধিপতি দীপক বসু, মহিলা সংগঠনের জেলা সভানেত্রী বর্ণালী দে-সহ জেলার এক ঝাঁক নেতানেত্রীকে নিয়মিতই দেখা যাচ্ছে শান্তিপুরে।

Advertisement

এ দিনও দেখা গিয়েছে এঁদের অনেককেই। কর্মীদের নিয়ে সভা করেছে যুব তৃণমূল ও টিএমসিপি-ও। বৃহস্পতিবার আসার কথা রয়েছে সায়নী ঘোষের। এর মধ্যেই মঙ্গলবার শান্তিপুরে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ তথা প্রাক্তন জেলা সভানেত্রী মহুয়া মৈত্র। বুধবারও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেলা ও স্থানীয় নেতৃত্বকে নিয়ে নানা প্রান্তে একাধিক কর্মিসভা করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। নিজেদের সংগঠনের হাল হকিকত যেমন বুঝে নেওয়ার কাজ চলছে, তেমন প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামীও জনসংযোগের কাজ সারছেন। মহালয়ার সকালেই তিনি চলে যান বড়বাজার ঘাটে। সেখানে তর্পণ করতে আসা মানুষজনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। ভাগীরথীর জলস্তর বৃদ্ধির কারণে সম্প্রতি ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। সেখানেও যান তৃণমূল প্রার্থী। জলমগ্ন এলাকায় হেঁটেই ঘোরেন তিনি। নাম ঘোষণার পর থেকে ছুটছেন সিপিএমের প্রার্থী সৌমেন মাহাতোও। হাতে সময়ে কম। এই অবস্থায় এক সঙ্গে যত বেশি সম্ভব মানুষের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন তিনি। এ দিন সকালে তিনিও চলে যান বড়বাজার ঘাট, গুপ্তিপাড়া ঘাটে। উপস্থিত মানুষজনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। গুপ্তিপাড়া ঘাটে স্নানও করেন সৌমেন। ইতিমধ্যে ফুলিয়ায় বাজার ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঘুরে একপ্রস্ত প্রচার সেরে ফেলেছেন তিনি। মঙ্গলবার শান্তিপুরের বড়বাজার এলাকায় ঘোরেন, ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। পাবলিক লাইব্রেরি থেকে শুরু করে স্টেশন হয়ে প্রায় বাইপাসের কাছাকাছি পর্যন্ত যান। সেখানেও রাস্তায় মানুষজনের মধ্যে জনসংযোগ সারেন। সৌমেন বলেন, “এক সঙ্গে যত বেশি সম্ভব মানুষের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement