প্রতীকী ছবি।
বড়চাঁদঘর গণধর্ষণ-কাণ্ডে বিজেপি ‘ঘোলা জলে মাছ ধরছে’ বলে অভিযোগ করলেন নির্যাতিতা তরুণীর দাদু। যদিও ওই তরুণীর কাকার দাবি, বিজেপি এই ঘটনায় তাঁদের পাশেই রয়েছে। এরই মধ্যে, ধর্ষণের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আফতার হোসেনের ছেলে সুজাউদ্দিন আহমেদ ওরফে সুজাইকে শনিবার গভীর রাতে গ্রেফতার করেছে কালীগঞ্জ থানার পুলিশ।
রবিবার তরুণীর দাদু বলেন, ‘‘প্রথম থেকে সিপিএম আমাদের পাশে আছে। বিজেপি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছে। আমরা ওদের কোনও সাহায্য পাইনি।’’ এই ধর্ষণ-কাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপির ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন অন্য রাজনৈতিক দলের নেতারা। তাঁদের মতে, ২০২১-এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘সক্রিয়’ হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবির।
সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক দেবাশিস আচার্য বলেন, ‘‘কলকাতা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে খেজুরি। সেখানে বিজেপির কর্মী ধর্ষণ-কাণ্ডে ধরা পড়েছে। অথচ ওঁরা সেখানে গিয়ে কোনও কথা বলছেন না। হঠাৎ এখানে রাজনীতি করছে। এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিজেপি হাজির হয় মিডিয়াকে নিয়ে। ঘটনাচক্রে এরা বামপন্থী পরিবার। আমরা কোনও রং দেখে পাশে দাঁড়াই না।’’ বিজেপির জেডপি ১৫ মণ্ডল কমিটির সম্পাদক মানিক মল্লিক বলেন, ‘‘আমরা মেয়েটির ন্যায় বিচারের জন্যই ওখানে গিয়েছি। আমরা কোনও রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য যাইনি। রাজনীতির খেলা সিপিএম খেলে, সেটা পরিষ্কার।’’
আগামী বছরের ভোট যুদ্ধের আগে এই ধর্ষণ-কাণ্ডকে সামনে রেখে মাঠে নেমে পড়েছে রাজ্যের দুই বিরোধী দল। তবে এ ক্ষেত্রে বেশি সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে বিজেপিকে। অগ্নিমিত্রা পাল-সহ তাদের দলের নেত্রীদের একাংশ ইতিমধ্যেই গিয়েছেন নির্যাতিতার বাড়ি।
তৃণমূলের জেলার কো-অর্ডিনেটর নাসিরুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘যদি কেউ অপরাধ করে থাকে, তারা আইন অনুযায়ী শাস্তি পাবে। তবে বিষয়টিকে নিয়ে সিপিএম এবং বিজেপি উভয়েই রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।’’
অন্য দিকে, সুজাইকে রবিবার কৃষ্ণনগর আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তার সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এর আগে এই ঘটনায় অভিযুক্ত ভাসু শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে আর এক অভিযুক্ত মিঠুন শেখ এখনও পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।