পুজোয় জনসংযোগ-যুদ্ধ

বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। পুজোর ক’টা দিন মণ্ডপেই দিনের অনেকটা সময় কাটান মানুষ। সেখানেই গল্প, আড্ডা, খাওয়াদাওয়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে।

Advertisement

সুস্মিত হালদার 

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:৪৫
Share:

ফাইল চিত্র।

কোনও ‘ভ্যানিটি’ চলবে না। ভিআইপি ইমেজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে পুজোর ক’টা দিন মিশে যেতে হবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে। মণ্ডপে ভিড়ের মধ্যে বসে কথা বলতে হবে এলাকার মানুষের সঙ্গে। শুনতে হবে মানুষের অভাব অভিযোগের কথা। পুজোর ক’টা দিন এই ভাবে জনসংযোগ বাড়াতে মরিয়া তৃণমূল। দলীয় সূত্রের খবর, জেলার জনপ্রতিনিধিদের বলে দেওয়া হয়েছে পুজোর সময় মানুষের পাশে থাকতে হবে। নিজের এলাকার প্রতিটি মন্ডপে গিয়ে সময় কাটাতে হবে। সে পুজো ছোট হোক বা বড়। একই রকম ভাবে দুর্গাপুজোকে জনসংযোগের সময় হিসাবে বেছে নিয়েছে বিজেপিও।

Advertisement

বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। পুজোর ক’টা দিন মণ্ডপেই দিনের অনেকটা সময় কাটান মানুষ। সেখানেই গল্প, আড্ডা, খাওয়াদাওয়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে। থাকেন বাড়ির মেয়ে-বউরাও। পুজো নিয়ে একটা আবেগ কাজ করে প্রত্যেকের মধ্যে। তাই পুজোর মণ্ডপে জনসংযোগ কর্মসূচি চালিয়ে মানুষের কাছাকাছি পৌঁছতে মরিয়া তৃণমূল-বিজেপি দু’পক্ষই। তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দলের বিধায়ক থেকে শুরু করে অন্য জনপ্রতিনিধিদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যে, নিজের-নিজের এলাকায় প্রতিটি পুজো মণ্ডপে গিয়ে সময় কাটাতে হবে।

মণ্ডপ থেকে দূরে রেখে আসতে হবে গাড়ি। ছেড়ে আসতে হবে ভিআইপি ইমেজ। সঙ্গে আনুগামীদের ভিড় রাখা যাবে না। কেউ সেই সময় কোনও অভিযোগ জানাতে এলে সেটাও মন গিয়ে শুনতে হবে। বড়-বড় পুজোর মণ্ডপের সামনে দলের পত্রিকার স্টল থাকবে। সাধারণ মানুষকে সাহায্য করার জন্য থাকবে ‘মে আই হেল্প ইউ’ স্টল। সেই সঙ্গে প্রতিটি পুজো কমিটির উপরে দলের নিয়ন্ত্রণ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। দলের জেলা পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “আমি স্পষ্ট বলে দিয়েছি যে, কোনও রকম ‘ভ্যানিটি’ দেখানো যাবে না। উৎসবের দিন গুলোতে মানুষের মধ্যে মিশে যেতে হবে। মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। প্রয়োজনে তাঁদের সমস্যার কথাও শুনতে হবে।”

Advertisement

জেলার বিজেপি নেতৃত্বেরও দাবি, পুজোর কটা দিনে তাঁরা জনসংযোগে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবেন। বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মানবেন্দ্র নাথ রায় বলছেন , “আমাদের কার্যকর্তারা এই কটা দিন মণ্ডপে-মণ্ডপে গিয়ে জনসংযোগ করবেন। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও নরেন্দ্র মোদীর বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হবে।”

পুজো কমিটিগুলির উপর তাঁরাও নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করতে চাইছেন। মণ্ডপের সামনে পত্রিকার স্টল দেবে বিজেপিও। বিলি করা হবে লিফলেট। টাঙানো হবে ফ্লেক্স। সেখানে কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন সাফল্যের পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদীর বার্তা লেখা থাকবে। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি ও এনআরসির পক্ষে প্রচার করা হবে বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement