Bomb squad

bomb recovereed: বোমা ৫৯০, বম্ব স্কোয়াড মাত্র একটি

জেলায় ২১৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩১৪টি কার্তুজ সহ ১৮৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে ৫৯০টি তাজা বোমা।

Advertisement

মফিদুল ইসলাম

হরিহরপাড়া শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২২ ০৯:৪৬
Share:

বোমা নিষ্ক্রিয় করতে যাওয়ার আগে। নিজস্ব চিত্র

বীরভূমের বগটুই কাণ্ডের পরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর থেকেই গত কয়েক দিন ধরে জেলার বিভিন্ন জায়গায় চলছে লাগাতার আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার। বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি জেলার একাধিক জায়গায় উদ্ধার হয়েছে তাজা বোমা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ এপ্রিল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলায় ২১৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩১৪টি কার্তুজ সহ ১৮৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে ৫৯০টি তাজা বোমা। গত কয়েক দিন ধরেই জেলার একাধিক থানা এলাকায় একাধিক জায়গায় বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। অন্য দিকে জেলায় রয়েছে একটি মাত্র প্রশিক্ষিত বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল।

Advertisement

ফলে প্রতিদিন একাধিক জায়গায় তাদের বোমা নিষ্ক্রিয় করতে হচ্ছে। বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলায় একটি মাত্র প্রশিক্ষিত বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল থাকায় যেকোনও জায়গায় বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটলে অন্তত দু-তিন দিন, কোথাও বা চার-পাঁচ দিন বা তারও বেশি সময় লাগছে বোমা নিষ্ক্রিয় করতে। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন থানার পুলিশ কর্মী, বিশেষ করে সিভিক ভলান্টিয়ারদের। পাশাপাশি উৎকণ্ঠায় ভুগছেন এলাকার বাসিন্দারাও।

গত সপ্তাহের সোমবার হরিহরপাড়ার হুমাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপাড়া এলাকায় উদ্ধার হয়েছিল বেশ কিছু তাজা সকেট বোমা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিনই খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডকে। কিন্তু তারপর ছ’দিনেও নিষ্ক্রিয় করা হয়নি ওই বোমা। অবশেষে রবিবার দুপুরে ওই এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া ন’টি তাজা সকেট বোমা নিষ্ক্রিয় করে বম্ব স্কোয়াড। এতদিন ওই বোমা আগলে রেখেছিলেন এলাকার সিভিক ভলান্টিয়াররা। রামপাড়া এলাকার বাসিন্দা সাদেক শেখ বলেন, ‘‘বোমা উদ্ধারের পর ছ’দিন পর তা নিষ্ক্রিয় করা হয়। তার মাঝে কোনও অঘটন ঘটতেই পারত। তখন দায় কে নিত?’’

Advertisement

একই রকম ভাবে গত ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় হরিহরপাড়ার ভবানীপুর -শ্রীপুর মাঠ থেকে উদ্ধার হয় ছ’টি তাজা সকেট বোমা। প্রায় তিন দিন পর ওই বোমা নিষ্ক্রিয় করে বম্ব স্কোয়াড। বেলডাঙা, ডোমকল, লালবাগ সর্বত্রই বোমা উদ্ধারের পর অন্তত তিন-চার দিন পর তা নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে বলে খবর। সিআইডি’র এক আধিকারিক বলছেন, ‘‘জেলায় বোমা নিষ্ক্রিয় করার জন্য একটি মাত্র প্রশিক্ষিত দল রয়েছে। ফলে প্রতিদিন দু-তিনটি থানা এলাকায় বোমা নিষ্ক্রিয় করতে হচ্ছে। আগে যেখান থেকে খবর আসছে, সেখানে আগে নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে।’’ ফলে গত কয়েক দিন ধরে বোমা উদ্ধার হবার পর তা নিষ্ক্রিয় করতে চার-পাঁচ দিন লাগছে বলেও জানান তিনি।

তা ছাড়া প্রায় এক সপ্তাহ আগে একই দিনে একদিকে ডোমকল, রানীনগর, সাগরপাড়া, হরিহরপাড়া অন্যদিকে রেজিনগর, খড়গ্রাম, ভরতপুরে বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। ফলে তখন পড়শি জেলা মালদহ থেকেও বম্ব স্কোয়াডের একটি দল বোমা নিষ্ক্রিয় করার জন্য জেলায় আনা হয়েছিল বলে জানান সিআইডি’র এক আধিকারিক। জেলা পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, ‘‘লাগাতার বোমা উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয় করার কাজ চলছে। বম্ব স্কোয়াডের একটি দল থাকায় বোমা নিষ্ক্রিয় করতে কিছুটা সময় লাগছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement