Fire Crackers

প্রাণ বাজি রেখে দোকানে মজুত কেজি কেজি বাজি! পুলিশি অভিযান হতেই ‘পলাতক’ মালিক

সোমবার রাতে কালীনগর এলাকার একটি দোকানে পুলিশি তল্লাশি হয়। পুলিশ খবর পেয়েছিল, ওই দোকানের মালিক উত্তমকুমার সাহা আনুমানিক ৩০০ কেজি বাজি লুকিয়ে রেখেছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২৩ ১০:০১
Share:

কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালিতে কেজি কেজি বাজি জল দিয়ে নিষ্ক্রিয় করে পুলিশ। —প্রতীকী চিত্র।

পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ এবং তাতে প্রাণহানির ঘটনার পর থেকেই বাংলায় বেআইনি বাজি উদ্ধারে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। তার মধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। মঙ্গলবার মালদহের ইংরেজবাজারেও বাজির গুদামে আগুন লেগে অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক শ্রমিকের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এই আবহে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় পুলিশি অভিযানে অন্তত ২৫০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি মিলেছে। অভিযোগ, ওই বিপুল পরিমাণ বাজি বেআইনি ভাবে বাড়িতে মজুত করা ছিল।

Advertisement

সোমবার রাতে নদিয়ার কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার কালীনগর এলাকার একটি দোকানে পুলিশি তল্লাশি হয়। গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পেয়েছিল, ওই দোকানের মালিক উত্তমকুমার সাহা আনুমানিক ৩০০ কেজি বাজি লুকিয়ে রেখেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, কেজি কেজি বাজি উদ্ধার করা গেলেও দোকানের মালিকের খোঁজ মেলেনি। তিনি পলাতক। পুলিশ সূত্রে এ-ও জানা যাচ্ছে, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এই অভিযান জারি থাকবে।

বাজিতে জল ঢেলে চলছে নিষ্ক্রিয় করার কাজ। —নিজস্ব চিত্র।

পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রামের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে ১৬ মে। মৃত্যু হয় অন্তত ১০ জনের। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ৫ দিনের মাথায়, ২১ মে, রবিবার কলকাতার অদূরে বজবজের একটি বাড়িতে বাজি বিস্ফোরণ হয়। পর পর দু’জায়গায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ এবং তাতে মৃত্যুর ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। বিরোধীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে বিস্ফোরক তৈরি হচ্ছে ওই রকম বেআইনি বাজি কারখানগুলিতে। আঙুল রাজ্যের শাসকদলের দিকে। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে। তবে রাজ্যের নানা প্রান্তে এমন ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। বেআইনি বাজি এবং কারখানার খোঁজে তল্লাশি এবং ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। কোতোয়ালির ওই বাজি উদ্ধার প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপার ঈশানী পাল বলেন, ‘‘নিষিদ্ধ বাজি মজুতের খবর পুলিশের কাছে পৌঁছলেই সেখানে অভিযান চালানো হচ্ছে। নিয়মিত এই অভিযান চলবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement