ফাইল চিত্র।
বহরমপুরের কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরী খুনের মামলায় রঘুনাথগঞ্জের এক যুবক সোমবার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই যুবক সুতপার বিশেষ বন্ধু ছিলেন। ওই খুনের মামলার বিষয়ে তিনি গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন বলে বহরমপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে।
অন্য দিকে সুতপা চৌধুরী খুনের মামলায় অভিযুক্তের জামিন নাকচ করলেন মুর্শিদাবাদের ভারপ্রাপ্ত বিচার বিভাগীয় বিচারক সুমনা গড়াই। সোমবার অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী পীযূষ ঘোষ তার জামিনের আবেদনের পাশাপাশি অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীকে সংশোধনাগার থেকে সশরীরে আদালতে হাজির করানোর আবেদন জানান। তবে জামিনের আবেদন খারিজ করলেও অভিযুক্তকে পরবর্তী শুনানির দিন সংশোধনাগার থেকে আদালতে হাজির করানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারক।
আইনজীবী পীযূষ ঘোষ এ দিন বলেন, ‘‘সুশান্তের জামিনের আবেদন করলেও শুনানি করিনি। ওর (সুশান্তের) সঙ্গে কথা বলেই শুনানি করব। তাই ওকে সংশোধনাগার থেকে আদালতে সশরীরে হাজির করানোর আবেদন করেছিলাম। বিচারক আমার সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।’’
তাঁর দাবি, ‘‘মামলায় লড়ার জন্য অভিযুক্তর সঙ্গে আমার কথা বলা প্রয়োজন রয়েছে। অনেক কিছু জানা প্রয়োজন। সেই জন্য ওকে আদালতে হাজিরার আবেদন করেছিলাম।’’
ওই মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী দেবাশিস রায় বলেন, ‘‘সুশান্তের জামিন নাকচ করে বিচারক পুনরায় জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ৮ জুন এই মামলার পরবর্তী দিন পড়েছে।’’
চলতি মাসের ২ তারিখ ভরসন্ধ্যায় বহরমপুর শহরের গোরাবাজারে জনবহুল জায়গায় খুন হন বহরমপুর গার্লস কলেজে ছাত্রী সুতপা চৌধুরী। ঘটনার দিন রাতেই বহরমপুর থেকে মালদহে পালিয়ে যাওয়ার সময় শমসেরগঞ্জ থেকে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার পুলিশ এই মামলার অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীকে গ্রেফতার করে। তার পরে পুলিশ হেফাজত কাটিয়ে ১৪ দিন আগে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল সুশান্তকে। সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারকের এজলাসে।