Ansarullah Bangla Team

মুর্শিদাবাদে ধৃত জঙ্গিদের ব্যাঙ্কে রহস্যময় লেনদেন! পশ্চিম এশিয়া থেকে টাকা আসত: অসম পুলিশ

মুর্শিদাবাদের নওদা থেকে গত সোমবার জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় সাজিবুল ইসলাম এবং মুস্তাকিন মণ্ডল ওরফে মোস্তাকিম শেখকে। তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের হদিস মিলেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৪০
Share:

মুর্শিদাবাদের নওদা থেকে গত সোমবার জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

মুর্শিদাবাদ থেকে ধৃত জঙ্গিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রহস্যময় লেনদেনের হদিস পেয়েছেন তদন্তকারীরা। পশ্চিম এশিয়া থেকে টাকা আসত তাদের কাছে। সে সব টাকা পৌঁছে যেত উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিম (এবিটি)-এর সংগঠন ভারতে তৈরির জন্য ওই টাকা সংগ্রহ করা হত বলে মনে করা হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছে অসম পুলিশের এসটিএফ।

Advertisement

মুর্শিদাবাদের নওদা থেকে গত সোমবার জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় সাজিবুল ইসলাম এবং মুস্তাকিন মণ্ডল ওরফে মোস্তাকিম শেখকে। অসম এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয় তাদের। ওই দু’জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য খতিয়ে দেখেছেন তদন্তকারীরা। বেশ কিছু লেনদেন তাঁদের সন্দেহজনক বলে মনে হয়েছে। এসটিএফ সূত্রের খবর, পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন সংগঠন থেকে অর্থসাহায্য করা হত এবিটিকে। কখনও নগদ অর্থ হাতবদল হত। কখনও আবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ঢুকে যেত টাকা। মুর্শিদাবাদ, দিনাজপুর, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে সংগঠন তৈরির জন্য অর্থ সংগ্রহ করত এবিটি, দাবি অসমের তদন্তকারীদের।

ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে অসম পুলিশ জানতে পেরেছে, পশ্চিম এশিয়া থেকে প্রথমে টাকা এসে পৌঁছত দক্ষিণ ভারতে। কেরলের একাধিক সংগঠনের কাছে অর্থসাহায্য পৌঁছে যেত। সেখান থেকে টাকা এসেছিল মুর্শিদাবাদে ধৃতদের অ্যাকাউন্টে। এই তথ্য নিশ্চিত করার জন্য ধৃতদের বেশ কয়েক জন ঘনিষ্ঠের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যে তার একটি তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে।

Advertisement

ব্যাঙ্ক লেনদেনের পাশাপাশি নগদে অর্থ লেনদেনের বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে অসম এসটিএফ। কোথায় কার মাধ্যমে কত টাকার লেনদেন হয়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কয়েক জনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তাদের বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করছেন তদন্তকারীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement