নিহতের ঘরে বিজেপি, ইট পড়ল থানায় 

চরজাজিরা গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গল চৌধুরী খুনের ঘটনায় পুলিশ তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। এরা হল শম্ভু মাহাতো, মহাদেব মাহাতো ও জনক মাহাতো। বৃহস্পতি বার তিন জনকেই কল্যাণী মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কল্যাণী শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৩৭
Share:

—প্রতীকী চিত্র

চরজাজিরা গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গল চৌধুরী খুনের ঘটনায় পুলিশ তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। এরা হল শম্ভু মাহাতো, মহাদেব মাহাতো ও জনক মাহাতো। বৃহস্পতি বার তিন জনকেই কল্যাণী মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Advertisement

এ দিকে এই খুনে রাজনৈতিক রঙ ক্রমশ চড়া হচ্ছে। বিজেপি প্রথম থেকেই নিহত যুবককে তাদের দলের একনিষ্ঠ কর্মী বলে দাবি করছে। বৃহস্পতি বার সকালে মৃতের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপির রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। সেখানে তৃণমূলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘এ ভাবে খুনের রাজনীতি করে বিজেপিকে দমানো যাবে না।’’ সায়ন্তনবাবু গ্রাম থেকে বেরিয়ে ওই ঘটনার প্রতিবাদে স্মারকলিপি জমা দিতে কল্যাণীর মহকুমাশাসকের দফতরে। সেই সময় আবার গ্রামবাসীদের একাংশ দোষীদের শাস্তির দাবিতে কল্যাণী থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

পুলিশের দাবি, কয়েক জন বিক্ষোভকারী থানায় ভিতরে আচমকা ইট ছুড়তে শুরু করেন। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠতে থাকলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিজেপি-ই গ্রামবাসীদের একাংশকে অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক তথা কল্যাণীর বাসিন্দা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুলিশকে নিষ্ক্রিয় দেখে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে মার খেয়েছেন। তৃণমূলের এই সন্ত্রাস মানা যায় না।’’ পুলিশ জানাচ্ছে, যাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ হয়েছে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পরও লোকজন যদি কোনও নেতার কথায় থানায় ইট ছোড়েন তা হলে বিক্ষোভ তুলে দিতেই হবে। তৃণমূলের কল্যাণী ব্লকের সভাপতি পঙ্কজ সিংহের কথায়, ‘‘মৃত যুবক কোনও দলের কর্মী বলে কখনও শুনিনি। এক জন সাধারণ যুবকের প্রতি কেন আমাদের আক্রোশ হবে? আর আমরা কখনও বলপ্রয়োগের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ মঙ্গল চৌধুরীর মোবাইলে একটি ফোন আসে। সেই ফোন পেয়ে তিনি অর্ধেক খাবার খেয়েই বাড়ি থেকে হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে যান। পরে বাড়ির অদূরে প্রাথমিক স্কুলের কাছে মঙ্গলের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহতের দাদা মনোজ চৌধুরী বুধবার কল্যাণী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement