পর্যটকদের কাছে নবাবি শহরকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে মুর্শিদাবাদকে কেন্দ্র করে সার্কিট ট্যুরিজম গড়ে তুলতে হবে। বছরখানেক আগে বহরমপুরের রবীন্দ্র সদনে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এমনই দাবি জানিয়েছিলেন পুরপ্রধান। সম্প্রতি বহরমপুরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে ফের সেই কথা স্মরণ করিয়ে দেন মুর্শিদাবাদের পুরপ্রধান বিপ্লব চক্রবর্তী।
মুখ্যমন্ত্রী সে দিন বিপ্লবকে বলেছিলেন, ‘‘সার্কিট ট্যুরিজমের কাজ হচ্ছে তো।’’ এর পরে পর্যটন দফতরের সচিবকে মুর্শিদাবাদকে কেন্দ্র করে সার্কিট ট্যুরিজমের বিষয়টি দেখতে বলেন।
সোমবার মুর্শিদাবাদ পুরসভার চেয়ারম্যান বিপ্লব চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ইতিহাসের খোঁজে মুর্শিদাবাদ শহরে বছরে ১২-১৪ লক্ষ পর্যটক আসেন। বহু বিদেশি পর্যটকও আসেন। মুর্শিদাবাদকে ঐতিহাসিক শহর হিসেবে ঘোষণা করার পাশাপাশি রাজ্যের অন্য পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছি।’’
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে একটি আধুনিক বাস টার্মিনাস গড়া থেকে শুরু করে ভাগীরথীর পাড় সৌন্দর্যায়ন, বন্ধ থাকা নিউ প্যালেসকে পুনরায় পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া, মুর্শিদাবাদ থেকে মালদহ, দিঘা, নবদ্বীপ, মায়াপুর, উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সড়ক পথে, জলপথে যুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া পলাশিতে যেমন তোরণ তৈরি হয়েছে, তেমনি মুর্শিদাবাদ শহরে ঢোকার মুখে তোরণ তৈরির আবেদনও জানানো হয়েছে। মুর্শিদাবাদ পুর-কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মুর্শিদাবাদ শহরকে ঐতিহাসিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হলে এর জন্য আলাদা অর্থ বরাদ্দ হবে। ফলে শহরে আরও উন্নয়ন করা সম্ভব হবে। পর্যটকরাও ছুটে আসবেন।
সিটি মুর্শিদাবাদ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য বলছেন, ‘‘শহরের দিকে তাকালে মাঝেমধ্যে মনখারাপ হয়ে যায়। পুরসভা যে দাবি জানিয়েছে আমরা তার সঙ্গে একমত। এখানে বিপুল সংখ্যক পর্যটক এলেও তাঁদের জন্য সে ভাবে কোনও ব্যবস্থা নেই। আমরা চাই, ঐতিহাসিক মুর্শিদাবাদকে স্বমহিমায় ফেরানো হোক। রাজ্যের অন্য পর্যটন কেন্দ্রে সরকার যেমন উন্নয়নমূলক কাজ করছে, এখানেও তেমন করা হোক। তা হলে পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে, অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে।’’
সেই অপেক্ষায় দিন গুনছে মুর্শিদাবাদ!