এমনই মাচা তৈরি করা হয়েছে। ছবি: সাফিউল্লা ইসলাম
সময় বদলাচ্ছে। বদলাচ্ছে গ্রামীণ এলাকার মাচার বহিরঙ্গও।
জলঙ্গির চোঁয়াপারা গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে এলাকার বিভিন্ন গ্রামে এক ডজন ‘আধুনিক মাচা’’ তৈরি করা হয়েছে। প্রায় ১২ লক্ষ টাকা খরচ করে। সেই সব মাচার উপরটায় রঙিন টিনের ছাউনি। বসার পাটাতনে দেওয়া হয়েছে ঝকঝকে টাইলস। এখানেই শেষ নয়, মাচার পিছনে সাইনবোর্ডে বিভিন্ন মনীষীদের ছবিও রয়েছে। সেই সব ছবির মধ্যে একেবারে বাঁদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও রয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা নামলেই জ্বলে উঠছে ঝকঝকে গ্লোসাইন বোর্ড। এমন মাচা পেয়ে খুশি গ্রামবাসীরাও। তাঁদের দাবি, বাঁশের তৈরি মাচা একটা বর্ষাতেই নষ্ট হয়ে যায়। ছাউনি না থাকায় বর্ষাকালে সেখানে বসতেও সমস্যা। কিন্তু পঞ্চায়েতের তৈরি মাচার ছাউনি রয়েছে। সাইনবোর্ডে ঝলমলে আলো। আর টাইলস বসানো ঝকঝকে বসার জায়গা। সব মিলিয়ে মাচার আড্ডা জমে উঠেছে চোঁয়াপাড়া পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে।
প্রসঙ্গত, গ্রামীণ এলাকায় মাচায় গ্রামবাসীদের জমায়েত এবং গল্পগুজব করা দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। সেই আলোচনায় জায়গা পায়, রপাজনীতি থেকে খেলাধুলো সবকিছুই। ডোমকলের কুপিলার বাসিন্দা আনারুল ইসলাম বলেন, ‘‘ সারাদিনে একবার মাচায় না বসলে মনে হয় কী যেন হল না। বিভিন্ন বয়সের মানুষ এসে বসেন সেখানে। সব ধরনের আলোচনাযই হয় সেখানে। আমাদের এখানেও পঞ্চায়েত যদি কংক্রিটের মাচা তৈরি করে দেয়, তাহলে দারুণ ব্যাপার হবে।’’ চোঁয়াপাড়া পঞ্চায়েতের সাহেবরামপুরের বাসিন্দা মোহিত দেবনাথ হেসে বললেন, ‘‘গ্রামে ওই মাচা তৈরির পর থেকে দেখছি প্রবীণরাও অসম বয়সিদের সঙ্গে আড্ডা দিতে আসছেন।’’ চোঁয়াপাড়া পঞ্চায়েতের প্রধান, তৃণমূলের রাকিবুল ইসলাম বলছেন, ‘‘গ্রামের প্রবীণ মানুষদের কথা ভেবেই আমরা প্রায় এক লক্ষ টাকা খরচ করে একেকটি মাচা তৈরি করেছি। পঞ্চায়েত এলাকায় এখনও পর্যন্ত ১২টি মাচা তৈরি হয়েছে। আরও কিছু মাচা তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে।’’ তবে চোঁয়াপাড়াকে দেখার পর অন্য এলাকাতেও এ ধরনের মাচা তৈরির দাবি তুলেছেন অনেক গ্রামবাসী।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।