অবাধে পলিব্যাগ। বেলডাঙায়। নিজস্ব চিত্র
ক্রেতার হাতে ক্যারিব্যাগ দেখলেই জরিমানা ৫০ টাকা। আর বিক্রেতার ৫০০ টাকা জরিমানা। ক্যারিব্যাগ ব্যবহারে এহেন নোটিস ঝুলিয়েছে জঙ্গিপুর পুরসভা সোমবার দুপুরে। কিন্তু কোথায় কি? হুঁশিয়ারিকে থোড়াই কেয়ার করে দিব্যি বুক ফুলিয়ে শহর জুড়ে চলছে ক্যারিব্যাগের দাপাদাপি।
পুরসভার কথা, বহু চেষ্টা হয়েছে ক্যারি ব্যাগ নিষিদ্ধ করার। কিন্তু পারা যায়নি। অথচ পুরসভার উপর প্রশাসনের চাপ বাড়ছে। তাই জরিমানার শেষ অস্ত্র দেখিয়ে নোটিস ঝোলাতে হয়েছে। কিন্তু পুর প্রশাসকের সেই জরিমানার নোটিস যে গায়ে মাখেনি না শহর বুধবার তা স্পষ্ট হয়েছে। পুর প্রশাসক মোজাহারুল ইসলাম বলছেন, ‘‘সোমবার জরিমানা সংক্রান্ত নোটিস ঝুলিয়েছি। এখনও পথে নামিনি। জরিমানাও আদায় হয়নি। পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই নামতে হবে। আগেই ধরা হবে বড় ক্যারিব্যাগ ব্যবসায়ীদের। কারণ শহরে ক্যারিব্যাগ আনা আগে তাঁদের বন্ধ করতে হবে।’’
দেড়শো বছরের প্রাচীন পুর শহরের নিকাশি ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে প্লাস্টিক ও ক্যারিব্যাগের অবাধ ব্যবহার। গত তিন বছর পুরসভা শাসক দল তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত। জঙ্গিপুরের পুরকর্তাদের সাফাই, বহু চেষ্টা করেছি। কিন্তু শহরের মানুষ সচেতন না হলে কী আর করা যাবে ?
এ রাজ্যে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের ব্যবহার নিয়ে একাধিক বার পুরসভাগুলিকে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। ২০০৬ সালে ফের পুরসভাগুলিকে তৎকালীন মুখ্যসচিব অমিতকিরণ দেব এক জরুরি চিঠি পাঠিয়ে সরাসরি নির্দেশ দিয়ে জানিয়ে দেন “ পরিবেশ দূষণ আইন ১৯৯৬ -য়ের ৫ এবং ১৯৮৬ সালের পরিবেশ আইনের ১৯ ও ১১ ধারা প্রয়োগ করে আইনগত ভাবে ব্যবস্থা নিতে।”
কিন্তু কোথায় কী? ভাগীরথী পাড়ের জেলার প্রাচীন পুরসভা জঙ্গিপুরে বুকফুলিয়ে অবাধে ঘুরছে প্লাস্টিকের নিষিদ্ধ ক্যারিব্যাগ।
জঙ্গিপুরের পুর প্রশাসক মোজাহারুল ইসলামের বক্তব্য, দুই শহর জঙ্গিপুর ও রঘুনাথগঞ্জে কয়েক হাজার কন্টেনার দেওয়া হয়েছে যাতে আবর্জনা ও প্লাস্টিক তাতে ফেলা হয়, যাতে তা যেন নিকাশি নালায় গিয়ে না পড়ে। কিন্তু কোনো ফল হয়নি।’’
স্কুল শিক্ষক উৎপল মণ্ডল বলছেন, “স্কুলগুলিতে চাল, আলু বণ্টনের দিন অবাধে প্ল্যাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করেছে?’’