অকেজো: জলের কল।
প্রতিশ্রুতি ছিল মাথাপিছু দৈনিক ১০০ লিটার জল। তার জন্য ৪৩ কোটি টাকা খরচ করে জল প্রকল্পও হয়েছে। কিন্তু ধুলিয়ানের আম জনতার জল জুটছে না।
ট্যাঁকের জোর যাদের রয়েছে, ১০ হাজার টাকা খরচ করে তাঁরা বাড়িতে জলের সংযোগ নিয়েছেন। মহার্ঘ্য জল প্রকল্প চালু হলেও পুরসভা রাস্তায় কোনও ট্যাপ কলের ব্যবস্থা করেনি। তার ফলে, সাধারণ মানুষ জল পাচ্ছেন না। যে নলকূপ থেকে তাঁরা জল নিতেন, সেগুলির অধিকাংশই জবাব দিয়েছে। শহরের মানুষ যখন তীব্র গরমে প্রবল জলকষ্টে ভুগছেন, পুরপ্রধান সুবল সাহা তখন শৈলশহর দার্জিলিঙে ছুটি কাটাচ্ছেন। বাসিন্দাদের ক্ষোভ আঁচ করে বৃহস্পতিবার ঠিকাদারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন উপ পুরপ্রধান নুর ইসলাম।
তিনি জানান, জল সঙ্কট মেটাতে শহর জুড়ে রাস্তার ধারে শতাধিক ট্যাপ লাগিয়ে দু’-এক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ঠিকাদার ও মিস্ত্রীদের বলা হয়েছে।
প্রায় এক লক্ষ মানুষের বাস ধুলিয়ান শহরে। নতুন জল প্রকল্প উদ্বোধনের আগে পুর কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, মাথাপিছু ১০০ লিটার করে জল দেওয়া হবে। জল প্রকল্পের উদ্বোধনের পরে অবশ্য সে ছবি মেলেনি। শুরুতেই পুরসভা ঘোষণা করে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়া হবে।
৫০০ পরিবার টাকা দিয়ে জলের সংযোগ নিয়েছেন। রাস্তায় কোনও ট্যাপ কলের ব্যবস্থায় করেনি। তাতে এলাকার বাসিন্দারা চরম ক্ষুব্ধ। শহরে প্রায় ৬০০ নলকূপ রয়েছে। সেগুলিই শহরের আম বাসিন্দাদের অন্যতম ভরসা। কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশ নলকূপই অকেজো। তার ফলে শহরের বেশিরভাগ এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকার বাসিন্দারা।