বছর ঘুরে যায় বেতন আর আসে না।
মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর মহকুমায় ‘ন্যাশনাল চাইল্ড লেবার প্রজেক্ট স্কিম’-এর সেই প্রশিক্ষকেরা কেন পাচ্ছেন না তাঁদের মাসিক বেতন, রাজ্যকে তা হলফনামা দিয়ে জানাতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ওই নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক পদমর্যাদার কোনও অফিসারকে ১৭ মে-র মধ্যে ওই হলফনামা পেশ করতে হবে।
আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত ও বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রকল্পটি কেন্দ্রীয় সরকারের। ইউনেসকো-র সঙ্গে যৌথ ভাবে ওই প্রকল্প চালানো হয়। তার পুরো অনুদানই কেন্দ্রীয় সরকার বহন করে। শিশু শ্রমিকদের পড়াশোনা মূলস্রোতে ফেরানোই সে প্রকল্পের মুখ্য উদ্দেশ্য। এর জন্য শিশু শ্রমিকদের প্রতি দিন ১৫০ টাকা ও এবং রোজকার খাবার দেওয়া হয়। রাজ্যের প্রতিটি ব্লকের বিডিও-দের মাধ্যমে শিশু শ্রমিকদের চিহ্নিত করেন প্রকল্পের প্রশিক্ষকেরা। তার পরে ব্লকের নির্দিষ্ট কয়েকটি কেন্দ্রে ওই শিশুদের নিয়ে গিয়ে মূলস্রোতে ফেরানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
প্রশিক্ষকের ২০১০ সালের আগে মাসে ছয় হাজার টাকা বেতন পেতেন। ২০১০ সালের পরে তা কমে দাঁড়ায় চার হাজারে। কিন্তু ২০১২ সালের পর থেকে তাঁরা বেতনই পাচ্ছে না। সেই কারণে কয়েকজন প্রশিক্ষক হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন।
এ দিন সেই মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের আদালতে। মামলার আবেদনকারীদের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
তিনি আদালতে জানান, কেন্দ্র ওই প্রকল্পের জন্য ২০১৫ সালে জঙ্গিপুর ব্লকে ৩০ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছে। কিন্তু মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক দাবি করছেন, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা পাঠায়নি। রাজ্যের শ্রম দফতরের কমিশনার প্রশিক্ষকদের বেতনের টাকা অবিলম্বে মেটাতে গত বছরের অক্টোবর মাসে নির্দেশ দিয়েছেন বলে আদালতে জানান বিকাশবাবু।