আচ্ছাদন বিহীন ভগবানগোলা স্টেশন। ২৫ জুলাই, ২০২৩। ছবি: প্রদীপ ভট্টাচার্য
লালগোলা-শিয়ালদহ লাইনে ভগবানগোলা ও জিয়াগঞ্জ স্টেশনে রেলের উদাসীন মনোভাবের কারণে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের, এমনটাই অভিযোগ। ভগবানগোলা-রানিতলা নাগরিক মঞ্চ এবং জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ নাগরিক ও রেলযাত্রী মঞ্চও একই অভিযোগ করছেন। উক্ত মঞ্চ থেকে কয়েক দফায় রেলের সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিককে লিখিত স্মারকলিপি দেওয়া হয় বলে জানালেন ভগবানগোলা-রানিতলা নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক আজমল হক।
তিনি বলেন, ‘‘ভগবানগোলা স্টেশনের দু’টি প্লাটফর্মে যাত্রী সুবিধার্থে মাথার উপরে কোনও আচ্ছাদন নেই। রোদ, বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় যাত্রীদের। স্টেশনে একটি মাত্র টিকিট কাউন্টার থাকার কারণে সব সময় দীর্ঘ লাইনে তাঁদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। গত মে মাসে পূর্ব রেলের আধিকারিকের হতে কয়েক দফা দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সেই সময় ডিআরএম মৌখিক ভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, খুব শীঘ্রই স্টেশনে একটি ভেন্ডিং মেসিন দেওয়া হবে। কিন্তু কয়েক মাস হল, আজও সেখানে ভেন্ডিং মেসিন দেওয়া হয়নি।” এ পথের নিত্য যাত্রী বহরমপুরের বাসিন্দা তথা জিয়াগঞ্জের একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মণীষা প্রামাণিক বলেন, “বর্তমানে নিত্যযাত্রীদের সুবিধার্থে বেশ কিছু ইএমইউ ট্রেন চলাচল করে। ইএমইউ ট্রেনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্লাটফর্মের নিদিষ্ট উচ্চতা বাড়ানো হয়নি। সে কারণে আপ ও ডাউন প্লাটফর্মে ট্রেনে ওঠা-নামার ক্ষেত্রে প্রতিদিন বিশেষ অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। রেলের উদাসীন মনোভাবের কারণে প্রতিনিয়তি নিত্য যাত্রীদের বিপদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।”
জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ নাগরিক ও রেলযাত্রী মঞ্চের প্রতিনিধি তথা জিয়াগঞ্জের বাসিন্দা অধ্যাপক রাজা ঘোষ বলেন, ‘‘জিয়াগঞ্জ স্টেশনে একটি মাত্র বুকিং কাউন্টার হওয়ার কারণে নিত্যযাত্রী ও দূরপাল্লার ট্রেনের সংরক্ষণের জন্য যাত্রীদের বহুক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের জন্য র্যাম্পের ব্যবস্থা নেই।”
ঘটনা প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “চলতি অর্থবর্ষে রেলের বেশ কিছু কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে বিভিন্ন স্টেশনের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে। উক্ত বিষয়গুলি নিয়ে দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে দ্রুত সমাধানের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।”