প্রাথমিকে নিয়োগের লিখিত ‘টেট’ পরীক্ষায় পাশ করেছেন তাঁরা। চিঠি মারফত মৌখিক পরীক্ষার ডাকও পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু পরীক্ষা দিতে এলে বৃহস্পতিবার বয়সের গেরো দেখিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হল এঁদের কয়েক জন।
কৃষ্ণনগরে ২১ অক্টোবর থেকে ওই মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। চলবে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিলেন প্রায় ১ লক্ষ ২৯ হাজার তরুণ-তরুণী। মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাক পেয়েছেন ৭ হাজার ৭৬৩ জন। নিয়োগ করা হবে মোট ১ হাজার ৪৭৫ জনকে। পরে অবশ্য প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে জানানো হয়, যাঁদের ফেরানো হয়েছিল, তাঁদেরও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।
এ দিন পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে যাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়, তাঁদের মধ্যে ছিলেন নবদ্বীপের শুভম ঘোষ। তাঁর প্রশ্ন, “যদি বয়স নিয়ে সমস্যাই ছিল, তবে কেন আমাদের ফর্ম জমা নিল, পরীক্ষায় বসতে দিল, মৌখিক পরীক্ষা নিতে ডাকলই বা কেন? খুব হতাশ।” কৃষ্ণনগরের এক পরীক্ষার্থীর বাবা কার্তিক দে বলেন, “এখন ওরা বলছে যে ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ বছর হয়নি, তাদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে না। তারা বয়সের কারণেই চাকরি পাওয়ার যোগ্য নয়। বি়জ্ঞাপনে কিন্তু তা বলা হয়নি। ছেলেমেয়েগুলো ভেঙে পড়েছে।”
কেন এমন হল? জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে ঘটনাটি স্বীকার করা হলেও নিছক ভুল বোঝাবুঝিকে এর জন্য দায়ী করা হয়েছে। সংসদের সভাপতি রমাপ্রসাদ রায় বলেন, “একটা ভুল বোঝাবুঝির কারণেই এমনটা হয়েছে। যাঁদের পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ফিরে যেতে হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। তাঁদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” কী সেই ভুল বোঝাবুঝি? রমাপ্রসাদবাবুর ব্যাখ্যা, “আসলে ২০১৪ সালে বিজ্ঞাপন বেরিয়েছিল। সেই অনুযায়ী মনে করা হয়েছিল যে, ওই বছর ১ জানুয়ারিতে যাদের বয়স ১৮ বছর হয়নি, তারা বাদ যাবে। তাই কয়েক জনকে ভুল করে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। আসলে, তারিখটা হবে এ বছর ১ জানুয়ারি। কারণ এই বছরই নোটিফিকেশন জারি হয়েছে।”