পুলিশের হাতে দালাল।
জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে রক্তের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সেই সুযোগ নিতে শুরু করেছে দালালেরা। তবে মঙ্গলবার রাতে দুই দালালকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। অভিযোগ, তারা রক্ত পাইয়ে দেওয়ার জন্য এক প্রসূতির পরিবারের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা নিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত, মাঝ রাতে জঙ্গিপুর ফাঁড়ি থেকে এক সিভিক কর্মীকে নিয়ে এসে প্রসূতিকে রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা করল জঙ্গিপুরের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
মঙ্গলবার রাতে জঙ্গিপুর হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি হন সুতির ভেলিয়ানের বাসিন্দা তানজিলা বিবি। তখন তাঁর হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এই অবস্থায় চিকিৎসক রাতেই রক্ত জোগাড় করতে বলেন। কিন্তু ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত ছিল না।
তানজিলার এক আত্মীয় জিয়াউল শেখ বলেন, “হন্যে হয়ে খুঁজেও কোথাও রক্ত পাইনি আমরা। কী করব? শেষ পর্যন্ত দুই দালাল এসে আমাদের বলে, তিন হাজার টাকা দিলে রক্তদাতা সংগ্রহ করে দেবে তারা। তাই প্রসূতিকে বাঁচাতে রক্ত পেতে টাকা দিতে হয়।” তবে তানজিলার রক্ত সঙ্কটের কথা জেনে হাসপাতাল সুপার অবিনাশ কুমার ফোন করেন রাতেই এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক সাহাদাত হোসেনকে।সাহাদাত বলেন, “বি পজ়িটিভ রক্ত দরকার ছিল। আমি সঙ্গে সঙ্গে সুপারের অনুরোধে জঙ্গিপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিচিত এক সিভিক কর্মী প্রভাত সাহাকে রাত ১২টা নাগাদ ফোন করি। প্রভাত রক্ত দিতে রাজি হয়ে যান।” দুই দালাল রাহুল শেখ ও রাজু শেখ হাসপাতালে এলে তাদের ধরে ফেলেন সাহাদাতেরা। দু’জনেই টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে। এরপর রাতেই রোগীদের লোকজন তাদের পেটাতে শুরু করে। সাহাদাত পুলিশকে খবর দিলে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।