—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্প চালুর ঘোষণা করা হয়েছিল। নির্বাচনী রাজনীতিতে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ মহিলা ভোট ব্যাঙ্কে যথেষ্ঠ প্রভাব ফেলেছিল বলেই মনে করে রাজনীতি মহলের একাংশ। তবে বিরোধীদের দাবি, এটি মহিলা-মন জয়ে জন্য শুধুমাত্র একটি সস্তা, রাজনৈতিক চমক। এ বার ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে, বৃহস্পতিবার রাজ্য বাজেটে সেই ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের ভাতা বৃদ্ধি করা হল।
রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে আগেই মহিলাদের জন্য লক্ষ্মীর ভান্ডারের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবারের রাজ্য বাজেটে তার ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা হল। বলা হয়েছে, যাঁরা ৫০০ টাকা পেতেন, তাঁরা এ বার থেকে পাবেন ১০০০ টাকা। যাঁরা ১০০০ টাকা পেতেন, তাঁরা পাবেন ১২০০ টাকা করে। অতীতেও লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প মহিলাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরেও মূলত ভিড় উপচে পড়েছিল লক্ষ্মীর ভান্ডারের আবেদনের জন্যই। তৃণমূলের একাংশের দাবি, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প রাজ্যের মহিলারা সাদরে গ্রহণ করেছেন। সাম্প্রতিক কাল বেশ কিছু ভোটে নদিয়া দক্ষিণে বিজেপির চেয়ে পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। পুরসভা ভোট এবং পঞ্চায়েত ভোটে যদিও নিজেদের হারানো জমি অনেকটাই পুনরুদ্ধার করেছে রাজ্যের শাসক দল। লোকসভা ভোটের আগেই রাজ্য বাজেটে লক্ষ্মীর ভান্ডার ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা করা হল, যা মহিলা ভোটব্যাঙ্কে প্রভাব ফেলবে বলেই দাবি।
যদিও এই বিষয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ— ভাতা বৃদ্ধি হয়েছে সামান্যই। আসলে যা হয়েছে, তা হল রাজনৈতিক চমক! বিজেপির মহিলা মোর্চার নদিয়া দক্ষিণ সংগঠনিক জেলা সভানেত্রী কণিকা বিশ্বাস বলেন, ‘‘সামান্য কিছু টাকা বৃদ্ধি করে মুখ্যমন্ত্রী ভাবছেন ভোটে জিতে যাবেন। আমাদের তো দাবি ছিল ভাতা ২০০০ টাকা হোক। অন্য দিকে, প্রচুর মহিলা চাকরির জন্য রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন। আর এ সব ঘটনা রাজনৈতিক চমক ছাড়া কিছুই নয়।’’ জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র সিলভি সাহা বলেন, ‘‘এটা ভোটের আগে চমক মাত্র। এর চেয়ে অনেক বেশি প্রয়োজন বেকার ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থান। সেই ব্যর্থতা ঢাকতেই এ সব ঘোষণা করতে হচ্ছে।’’ একই সুরে সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য রমা বিশ্বাস বলেন, ‘‘নজর ঘোরাতে সস্তা জনপ্রিয়তার রাজনীতি করছেন।’’
ওই সব সমালোচনায় পাল্টা তৃণমূলের দাবি, অযথাই এ নিয়ে রাজনীতি করছেন বিরোধীরা। নদিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তারান্নুম সুলতানা মির বলেন, ‘‘আমাদের মুখ্যমন্ত্রী যে কতটা মানবিক, তা আবারও প্রমাণ হয়ে গেল।’’