জখম হওয়ার পরে মণিকান্ত যাদব। —নিজস্ব চিত্র।
রানাঘাটে গয়নার দোকানে ডাকাতি করে পালানোর সময়ে পুলিশের গুলিতে ঘায়েল এক দুষ্কৃতীর মৃত্যু হয়েছে কলকাতার হাসপাতালে। মৃতের নাম মণিকান্তকুমার যাদব (১৯)। সে বিহারের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে এনআরএস হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ছোটু যাদব নামে গুলিবিদ্ধ আর এক দুষ্কৃতী কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার হওয়া অপর তিন দুষ্কৃতী কুন্দনকুমার যাদব ওরফে ফাইটার, রাজুকুমার পাসওয়ান ও রিক্কি পাসওয়ানকে ‘টিআই প্যারেড’-এ শনাক্তকরণের জন্য শুক্রবার রানাঘাট আদালতে হাজির করা হয়। আগামী সপ্তাহেই তাদের ‘টিআই প্যারেড’ হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
আগামী বুধবার ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত শেষ হওয়ার পর কুন্দন যাদবকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানাতে পারে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। গত ১ এপ্রিল শক্তিগড়ের রাস্তায় আসানসোলের কয়লা কারবারি রাজেশ ওরফে রাজু ঝা খুনে সে অন্যতম অভিযুক্ত।
গত ২৯ অগস্ট রানাঘাট মিশন রোডের পাশে এক নামী সংস্থার দোকানে হানা দিয়ে বহু টাকার গয়না লুটপাট করে আট ডাকাত। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পড়লে তারা গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে মণিকান্ত যাদব ও ছোটু পাসওয়ান গুরুতর জখম হয়।
তাদের প্রথমে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, পরে সেখান থেকে জেএনএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। মণিকান্তের অবস্থার অবনতি হওয়ায় দিন কয়েক আগে তাকে এনআরএস হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আট জনের ডাকাত দলে সবচেয়ে কমবয়সি ছিল মণিকান্তই। তার ডান উরুতে গুলি লাগে। তার অবস্থা যে আশঙ্কাজনক তা প্রথম দিনেই জানিয়ে দিয়েছিলেন রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ৯টা নাগাদ এনআরএস-এর শল্য চিকিৎসা বিভাগে তার মৃত্যু হয়।
রানাঘাট পুলিশ জেলার এক আধিকারিক জানান, মণিকান্তের বাড়ি বিহারের বৈশালী জেলার বিধুপুর থানার গোপালপুর গ্রামে। তার শারীরিক অবস্থার কথা আগেই পরিবারকে জানানো হয়েছিল।
ডাকাতির পর পাঁচ জন ধরা পড়লেও বাকি তিন দুষ্কৃতীর নাগাল পুলিশ এখনও পায়নি। শুক্রবার রানাঘাট পুলিশ জেলা সুপার কে কন্নন বলেন, "বাকিদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলছে। দ্রুত চার্জশিট দেওয়ার জন্য ধৃতদের বিহারের বাড়ি
শনাক্ত করা হয়েছে।"