বোমাবাজি এবং গোলাগুলিতে উত্তপ্ত এলাকা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের। —প্রতীকী চিত্র।
নদিয়ার চাকদহ থানার বিষ্ণুপুরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে উত্তপ্ত এলাকা। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। হয়েছে বোমাবাজিও। দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছেন এক জন। ওই তৃণমূল নেতার শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। কল্যাণী জহরলাল নেহরু হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ শাসকদলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। মারামারি, বোমাবাজিতে এক জনের আহত হওয়ার খবর মেলে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয় স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে রিপন বিশ্বাসকে। অন্য দিকে, এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূল প্রধানের স্বামী বুদ্ধদেব বিশ্বাসের। যদিও তাঁর স্ত্রী অপর্ণা বিশ্বাস স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, চাকদহ দুবড়া অঞ্চলে প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা রিপন এবং বুদ্ধদেব। দু’জনের একাধিক ব্যবসা রয়েছে। স্থানীয় একটি সব্জি হাটের নিলাম নিয়ে বুদ্ধদেব ও রিপনের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। অভিযোগ, রবিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ পাড়ার একটি ক্লাবে বসেছিলেন রিপন। সে সময় বুদ্ধদেবের নেতৃত্বে প্রায় ৩০ জন রিপনের উপরে হামলা চালান বলে অভিযোগ। রিপন বলেন, ‘‘আমার মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হয়। মাথা ফেটে যায়। আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি।’’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান পর পর বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পান তাঁরা। মুহুর্মুহু গুলির শব্দে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। কিছু ক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় চাকদহ থানার পুলিশ।
অন্য দিকে, তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান অপর্ণার দাবি, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটের আগে আমার এবং আমার পরিবারের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করতে নোংরা ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’’