—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
নিষিদ্ধ চিনা রসুন বাজেয়াপ্ত করল নদিয়ার তেহট্ট থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে এক ব্যবসায়ীকে।
গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে মঙ্গলবার তেহট্টের সব্জির বাজারে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। একটি দোকান থেকে প্রায় এক কুইন্টাল চিনা রসুন উদ্ধার হয়। ‘নিষিদ্ধ রসুন’ বিক্রির অভিযোগে লক্ষ্মণ হালদার নামে এক ব্যবসায়ীকে পাকড়াও করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অপরিহার্য পণ্য আইনে মামলা করা হয়েছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রসুন সরবরাহের উৎসের সন্ধান করছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কয়েক দিন ধরে তেহট্ট থানা এলাকার একাধিক বাজারে চিনা রসুন বিক্রির হচ্ছিল। চিন থেকে বাংলাদেশ হয়ে ওই রসুন পশ্চিমবঙ্গের বাজারে ছড়িয়ে পড়ছে। অধিক মুনাফার লোভে লাল রঙের চিনা রসুনের রং বদল করতে ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশানো হচ্ছিল।
চিনা রসুনের কোয়া মোটা হয়। চাষের সময় যে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। ধৃত ব্যবসায়ী দাবি করেছেন, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। সাধারণ বিক্রেতা হিসাবে আড়ত থেকে মাল কিনে নিয়ে এসে বিক্রি করছিলেন। এখন ওই আড়তদারের খোঁজ করছে পুলিশ।
২০১৪ সালে চিনা রসুন আমদানি করা বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। চিনা রসুনে ছত্রাকের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, চিন থেকে ভারতে যে রসুন পাঠানো হত, সেই রসুনে থাকত মিথাইল ব্রোমাইড। রসুনকে ফাঙ্গাসের হাত থেকে বাঁচাতে ওই রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত ভাবে সামান্য পরিমাণ মিথাইল ব্রোমাইড পেটে গেলে যকৃৎ, কিডনি বিকল হতে পারে। স্নায়ুর সমস্যাও হয়। তেহট্ট মহকুমার পুলিশ আধিকারিক শুভতোষ সরকার বলেন, ‘‘রসুনগুলো পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিকর কোনও রাসায়নিক পাওয়া গেলে সেই অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তা ছাড়া কোন পথে এই রসুন রাজ্যের বাজারে আসছে সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।’’