প্রতীকী ছবি।
এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হল প্রতিবেশী যুবক। ওই শিশুকন্যার বয়স তিন বছর। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দুপুরে নবদ্বীপ ব্লকের চরমাঝদিয়া চরব্রহ্মনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। রবিবার রাতে নির্যাতিতার শিশুকন্যার পরিবার অভিযুক্ত যুবক সুকুমার দেবনাথের বিরুদ্ধে নবদ্বীপ থানায় ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছিল ওই যুবক। রবিবার বেশি রাতে সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে নবদ্বীপের গঙ্গার পূর্বপাড়ের স্বরূপগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করে নবদ্বীপ থানার পুলিশ।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শিশুকন্যার বাবা পেশায় টোটোচালক। তিনি ওই চরমাঝদিয়া- চরব্রহ্মনগর অঞ্চলেই টোটো চালান। নির্যাতিত শিশুটির মা এক জন তাঁতের কাজে যুক্ত। তিনি প্রতি দিন বাড়ি থেকে কিছু দূরের একটি তাঁত কারখানায় কাজ করতে যান। বাড়িতে আর কেউ না থাকায় বছর তিনেকের মেয়েকে সঙ্গে নিয়েই কর্মস্থলে যান। অন্য দিনের মতো সে দিনও তিনি কাজ করছিলেন, মেয়েটি আশেপাশেই খেলছিল। অভিযোগ, পেশায় পাওয়ালুম কর্মী সুকুমার দেবনাথ কোনও এক ফাঁকে ওই শিশুটিকে ভুলিয়ে তার মায়ের অজান্তে পাশের একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যায় এবং তার উপরে অত্যাচার চালায়। বেশ কিছু ক্ষণ পরে শিশুকন্যাটিকে দেখতে না পেয়ে তার মা খোঁজখবর শুরু করেন। একটু বাদেই মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে মায়ের কাছে আসে। তার আচরণে অস্বাভাবিকতা থাকায় বিষয়টি তিনি প্রতিবেশীদের জানান। শিশুটির সঙ্গে কথা বলে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর সকলে তাঁকে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন।
সেই মতো রবিবার রাতে নবদ্বীপ থানায় অভিযুক্ত সুকুমার দেবনাথের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। শিশুটির বাবা এ দিন বলেন, “যে একটা দুধের শিশুর সঙ্গে এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ করতে পারে, সে আর যাই হোক মানুষ নয়। আমরা দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছি।”
সোমবার দুপুরে অভিযুক্ত যুবককে কৃষ্ণনগর পকসো আদালতে পেশ করা হয়। তার বিরুদ্ধে পকসো আইনের ৬ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।