মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নতুন বছরের গোড়াতেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান প্রকল্পের শুরুর জোর চর্চা চলছিল। প্রশাসন সূত্রের খবর, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই ঘাটালের বহ প্রতীক্ষিত ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’ প্রকল্পের সূচনা হওয়ার কথা। চলতি মাসেই প্রকল্পের জন্য গঠিত মনিটারিং কমিটির উচ্চ পযার্য়ের বৈঠক হবে বলে খবর। ইতিমধ্যেই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত একাধিক প্রকল্পের ডিপিআর (ডিটেল প্রজেক্ট রিপোর্ট) শেষ করে টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পরই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের প্রস্ততি শুরু হয়েছিল। গত বছর থেকেই চলছিল প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত প্রকল্প গুলির চূড়ান্ত ডিপিআর তৈরির কাজ। তার পাশাপাশি প্রকল্প রূপায়ণে কোথায় কত জমি প্রয়োজন, কতটা সরকারি জমি রয়েছে তার পরিদর্শন শুরু হয়েছিল। জমির মাপজোকের কাজও সারা। মাস দেড়েক আগেই গঠন হয়েছে গোটা প্রকল্পের নজরদারির জন্য ‘মরিটারিং কমিটি’। ইতিমধ্যেই ‘পারচেজ কমিটি’ গঠন এবং তার বৈঠকও সেরে ফেলেছে জেলা প্রশাসন। সেখানে জমি কেনা নিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জমির মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের লিখিত সম্মতি নেওয়ার পরই জমি কিনবে প্রশাসন। সব মিলিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে শিলান্যাসের কথা মাথায় রেখে জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে সেচ দফতর তৎপর। সূচনার পর যাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে কাজ শুরুতে ঢিলেমি না হয়, তার জন্য প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন প্রকল্প গুলির টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।
প্রশাসনের অন্দরের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে ঘাটালের ওই প্রকল্পের সূচনার পরই বিদ্যুৎ গতিতে কাজ শুরু করতে চায় রাজ্য সরকার। তাই সূচনার আগে ‘মনিটারিং কমিটি’র এক জরুরি বৈঠক হবে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসের শেষের দিকে সেই বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানে সেচ দফতরের সচিব-সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও বাস্তকারেরাও থাকবেন। এ ছাড়াও থাকবে জেলা প্রশাসন-সহ ‘মনিটারিং কমিটি’র সকল সদস্য। ওই বৈঠকে মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন বিষয়ক সমস্ত ধরনের আলোচনা হবে। তার পরই শিলান্যাসের চূড়ান্ত দিনক্ষণতৈরি হবে।
প্রাথমিক ভাবে দাসপুরে চন্দ্রেশ্বর খালের ছ’কিলোমিটার নতুন করে খনন করে শিলাবতীর সঙ্গে সংযোগ করা হবে। তার পাশাপাশি ঘাটাল শহরে শিলাবতী নদীর পশ্চিম পাড়ে নদীর ভেতর থেকে উঁচু পাঁচিল তৈরি হবে।এর সঙ্গেই ঘাটাল শহরে দু’টি পাম্প হাউস তৈরি হবে। দাসপুর ২ ব্লকে চারটে এবং ঘাটাল শহরে একটি স্লুইশ গেট তৈরি হবে। এ ছাড়াও মাস্টার প্ল্যান প্রকল্প এলাকায় একাধিক নদী ও খাল সংস্কারও হবে। একই সঙ্গে চলবে এই সব কাজ। তাই এখন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সংশ্লিষ্ট প্রকল্প গুলির ডিপিআর তৈরির কাজ চলছে।