নবদ্বীপ খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ১। নিজস্ব চিত্র।
নবদ্বীপ শুট আউট কাণ্ডে তদন্তে নেমে বড় সাফল্য পেল জেলা পুলিশ। খুনের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই গ্রেফতার মূল চক্রী। পুলিশ সূত্রে খবর ধৃতের নাম নবকুমার। তার বাড়ি নবদ্বীপের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে। যদিও খুনের কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় পুলিশ। কী কারণে মহিলাকে গুলি করে খুন করা হল, খুনের ষড়যন্ত্রের পিছনে আরও কে রয়েছে, এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বুধবার অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীর গুলিতে মৃত্যু হয় রানু বৈরাগ্য। বছর ৪৫-এর ওই মহিলার নবদ্বীপ বাসস্টান্ডের সামনে নর্দমার ধারে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। জানা যায় তিনি নবদ্বীপের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। একটি বাড়িতে রাঁধুনির কাজ করতেন। তাঁকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করার ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
মৃতার পরিবারের দাবি, মৃতার সঙ্গে কারও ঝামেলা ছিল না। মৃতার ছেলে রমেন বৈরাগ্য বলেন, ‘‘আমার মা প্রতি দিন সকালে হাঁটতে যেতেন। সেখান থেকেই ফেরার পথে ফুল তুলে ফিরে আসতেন। সকালে আমাকে জানানো হয়, কেউ মা কে কানের পাশে গুলি করেছে। আমার মা আগে বাড়ি থেকেই কাপড়ের কাজ করতেন। মাসখানেক হল একটা জায়গায় রান্নার কাজ করতে ঢুকেছিলেন। কারও সঙ্গে আমাদের শত্রুতা ছিল না। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল আমার মাথায় কিছু আসছে না। দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’