মৃতা রানু বৈরাগ্যর বাড়ি। নিজস্ব চিত্র।
প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে অ়জ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীর গুলিতে প্রাণ গেল এক মহিলার। বুধবার ভোর ৫টা নাগাদ প্রাতর্ভ্রমণে বেরোন তিনি। তখনই কে বা কারা এসে তাঁকে গুলি করে। নবদ্বীপ বাসস্টান্ডের সামনে একটি কারখানার পাশে নর্দমার সামনে থেকে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। উদ্ধার করে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মৃত মহিলার নাম রানু বৈরাগ্য (৪৫)। তিনি নবদ্বীপের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। মৃতা একটি বাড়িতে রাঁধুনির কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে মহিলাকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালানো হয়। এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পরিবারের দাবি, মৃতার সঙ্গে কারও ঝামেলা ছিল না। মৃতার ছেলে রমেন বৈরাগ্য বলেন, ‘‘আমার মা প্রতি দিন সকালে হাঁটতে যেতেন। সেখান থেকেই ফেরার পথে ফুল তুলে ফিরে আসতেন। সকালে আমাকে জানানো হয়, কেউ মা কে কানের পাশে গুলি করেছে। আমার মা আগে বাড়ি থেকেই কাপড়ের কাজ করতেন। মাসখানেক হল একটা জায়গায় রান্নার কাজ করতে ঢুকেছিলেন। কারও সঙ্গে আমাদের শত্রুতা ছিল না। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল আমার মাথায় কিছু আসছে না। দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’
ছেলে ছাড়াও মৃতার এক মেয়েও আছে। তাঁর স্বামী বছর দু’য়েক আগে মারা গিয়েছেন। তাঁর ছেলে রমেন বিবাহিত। রমেনেরও স্ত্রী-কন্যা নিয়ে সংসার। তাঁরা একসঙ্গে থাকতেন। পুলিশ ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে।