— প্রতীকী চিত্র।
প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে বিদ্যুতের খুঁটি থেকে দোকান, অফিসের দেওয়ালে দেওয়ালে নগ্ন ছবি দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। বেলা বাড়তেই এলাকা জুড়ে এ নিয়ে শোরগোল শুরু হয়। খবর যায় পুলিশের কাছে। সঙ্গে সঙ্গে ছবিগুলো সরানো হয়। কিন্তু এই কাজ কার? উদ্দেশ্যই বা কী? অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে বিভিন্ন দোকান এবং বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। তার পরেই এক বৃদ্ধকে শনাক্ত করলেন তদন্তকারীরা। শুক্রবার দুপুরে অভিযুক্তকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের ঘটনা। অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁর পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বহরমপুরের নিমতলা এলাকার দেওয়ালে দেওয়ালে মহিলাদের নগ্ন ছবি সাঁটানো দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। একটু বেলা বাড়তেই তোলাপাড় পড়ে যায় এলাকায়। আরজি কর ইস্যুতে উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যেই শহরের ব্যস্ততম এলাকায় এমন অশালীন কাণ্ডে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। সরিয়ে ফেলা হয় অশ্লীল পোস্টারগুলি। সিসিটিভি-তে দেখা যায় গভীর রাতে এক বৃদ্ধ ওই পোস্টারগুলি সাঁটিয়ে বেড়াচ্ছেন। স্থানীয়দের সাহায্য নিয়ে অভিযুক্তকে শনাক্ত করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের মানসিক সমস্যা রয়েছে। বেশ কয়েক জন জানাচ্ছেন, বছর দশেক আগে এক মহিলার সাথে অভব্য আচরণের জন্য নিমতলা বাজারে ওই বৃদ্ধের জুতোর দোকান বন্ধ করে দেন স্থানীয়েরা। পরে অবশ্য দোকান খোলা হয়। বর্তমানে দোকানটি চালান বৃদ্ধের ছেলে। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, বাড়িতে একা থাকেন ওই বৃদ্ধ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই কাজে তাঁর সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত রয়েছেন কি না, জানতে চাইছে পুলিশ। এ নিয়ে মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত রাজবংশী বলেন, ‘‘অশ্লীল পোস্টার ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। অভিযুক্তকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি কেন এমন কাজ করলেন, তদন্তের জন্য তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।’’