এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
সামান্য কারণ নিয়ে বচসা, সেখান থেকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের শক্তিপুরের রামনগর এলাকায়। মৃতের নাম ক্ষুদিরাম ঘোষ। বয়স ৫৮ বছর। এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হননি। তবে মৃতের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগ দায়ের করতে চলেছে তারা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার রামনগরের ঘোষপাড়া এলাকায় ধীরেন ঘোষ নামে এক জনের বাড়িতে কালীপুজোয় আমন্ত্রিত ছিলেন ক্ষুদিরাম। তাঁর সঙ্গে ছেলে মনোজ ঘোষ ছিলেন। পুজোর পর্ব মিটে যাওয়ার পর প্রসাদ বিতরণ হচ্ছিল। ক্ষুদিরামের মতো আমন্ত্রিতদের অনেকে দাঁড়িয়ে প্রসাদ খাচ্ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, প্রসাদ খাওয়ার পর হাত ধুয়ে হাত ঝেড়েছিলেন ক্ষুদিরাম। সেই জলের দু’-এক ফোঁটা নাকি পাশে দাঁড়ানো এক ব্যক্তির গায়ে পড়ে। তা-ই নিয়ে শুরু হয় তর্কাতর্কি। ‘এঁটো জল’ কেন গায়ে পড়ল, ক্ষুদিরামের কাছে জানতে চান সিদ্ধার্থ ঘোষ নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা। ওই নিয়ে দু’জনের মধ্যে বেশ কিছু ক্ষণ কথা কাটাকাটি হয়। কিন্তু কিছু ক্ষণের মধ্যে বচসা গড়ায় মারামারিতে। অভিযোগ, সিদ্ধার্থের নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের একটি দল বাঁশ-লাঠি নিয়ে এসে ক্ষুদিরামকে মাটিতে ফেলে পেটান। তাতে শরীরের একাধিক জায়গায় চোট পান বৃদ্ধ। সিদ্ধার্থদের থামাতে কার্যত হিমশিম খান ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাকি লোকজন। পরে ক্ষুদিরামকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। রবিবার চিকিৎসারত অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
মৃতের ছেলে মনোজ বলেন, ‘‘বাবার সঙ্গে কালীপুজোর নিমন্ত্রণে গিয়েছিলাম। একটা সামান্য বিষয় নিয়ে সিদ্ধার্থ-সহ কয়েক জন লোক বাবার উপর চড়াও হল। বাবাকে বেধড়ক মারধর করেছে। আমি ওদের নিরস্ত্র করতে গিয়েও পারিনি। আমার চোখের সামনে বাবাকে মেরে ফেলল ওরা। আজই (রবিবার) এ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হচ্ছি।’’ অন্য দিকে, পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, অভিযোগ দায়ের হলে তা খতিয়ে দেখা হবে।