মৃত সত্যজিৎ বিশ্বাসের এলাকায় জোর টক্কর তৃণমূল, বিজেপি এবং বাম। — ফাইল চিত্র।
এক সময়ে ‘তৃণমূলের গড়’ হয়ে ওঠা বাদকুল্লায় সাম্প্রতিক বিভিন্ন নির্বাচনে বয়েছে পদ্মের হাওয়া। বাদকুল্লা ১ গ্রাম পঞ্চায়েত সেই কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত যেখানে বিধায়ক ছিলেন সত্যজিৎ বিশ্বাস। তৃণমূলের প্রায় একতরফা দাপট ছিল তখন। সত্যজিৎ খুন হওয়ার পর ছবিটা বদলে গিয়েছে। গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির চেয়ে পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। সেই সঙ্গে রয়েছে কোন্দল। স্থানীয় বাসিন্দা, প্রাক্তন ব্লক সভাপতি কৃষ্ণকিঙ্কর ঘোষের সঙ্গে দলের একাংশের সঙ্গে দূরত্ব।
তবে নিচুতলায় তৃণমূলের যথেষ্ট পোক্ত সংগঠন রয়েছে। তার উপর ভর করেই আপাতত হারানো ভোট ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় রয়েছে তারা। এই গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতা ধরে রাখতে গেলে উপদলীয় কোন্দল মিটিয়ে নিচুতলার সংগঠনের উপরেই ভরসা রাখতে হবে তৃণমূলকে। আগের দু’টি নির্বাচনের প্রবণতা ধরে রাখতে গেলে বিজেপিকেও সেই নিচুতলার ভরসাতেই মাঠে নামতে হবে।
গোটা রাজ্যে বামেদের হাতে থাকা একমাত্র পুরসভা তাহেরপুরের কাছ ঘেঁষা বাদকুল্লাতে সিপিএমও হাল ছাড়ার পাত্র নয়। সাম্প্রতিক ভোটের অঙ্কে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও যথেষ্ট সাংগঠনিক শক্তি আছে সিপিএমেরও। পঞ্চায়েতের মতো নিচুতলার নির্বাচনে তা অবশ্য বিবেচ্য। সিপিএম নিজের ভোট কতটা ধরে রাখতে পারে বা আগের হারানো ভোট কতটা ফিরিয়ে আনতে পারে, তার উপর নির্ভর করবে অনেক কিছুই।