আধুনিকতার পথে ফরাক্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। — নিজস্ব চিত্র।
দূষণের মাত্রা ইতিমধ্যেই ছাড়িয়েছে সর্বোচ্চ সীমা। বায়ুর গুণমান নামতে নামতে তলানিতে। এ বার সেই ‘ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশন’ বা এনটিপিসি-এর ফরাক্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে সম্পূর্ণ দূষণমুক্ত করতে ‘গ্রিন ফরাক্কা’ প্রকল্প ঘোষণা হল। আধুনিকীকরণের খবরে খুশির হাওয়া স্থানীয়দের মধ্যে। উচ্ছ্বসিত পরিবেশপ্রেমীরাও।
২১০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন ফরাক্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এ বার সম্পূর্ণ দূষণমুক্ত হতে চলেছে। আগামিদিনে দূষণের পরিমাণ শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনতে এনটিপিসি ফরাক্কায় প্রায় ১৩০০ কোটি টাকা ব্যয় করে তিনটে অত্যাধুনিক চিমনি তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১৯৮৬ সালে চালু হওয়া ফরাক্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় কয়লা পুড়িয়ে। বর্তমানে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মোট উৎপাদন ক্ষমতা ২১০০ মেগাওয়াট। এখানে মোট ছ’টি ইউনিট রয়েছে।
জানা গিয়েছে, ২০২০ সাল থেকে তিনটে চিমনি তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে। বর্তমানে ১, ২ ও ৩ — এই তিনটি চিমনির মাধ্যমে ২১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। সেই চিমনিগুলিই বদলে ফেলা হচ্ছে। তার বদলে বসছে অত্যাধুনিক দূষণ নিরোধক চিমনি। এর ফলে আগামিদিনে ফরাক্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পূর্ণ দূষণমুক্ত হয়ে উঠবে বলে দাবি এনটিপিসির। এ জন্য এই প্রকল্পের নাম রাখা হয়েছে ‘গ্রিন ফরাক্কা’।
এনটিপিসির সিজিএম রমাকান্ত পণ্ডা বলেন, ‘‘আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন হবে। এর ফলে আশপাশের এলাকায় বাতাসের মান অনেকটাই উন্নত হবে। লক্ষ্যণীয় হারে কমবে পরিবেশ দূষণ।’’