প্রতীকী ছবি।
লকডাউনে ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের জব কার্ড ও একশো দিনের কাজ দেওয়ার ব্যাপারে সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা এখনও পাননি করিমপুর এলাকার বহু শ্রমিক। কারও কার্ড আছে কিন্তু কাজ নেই, আবার অনেকের কার্ডই নেই। এই ভাবে কেউ সাত মাস আবার কেউ পাঁচ মাস রয়েছেন।
করিমপুর ২ ব্লকের ধোড়াদহ ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিপ্লব মণ্ডলের অভিযোগ, গ্রামের ১২ জন যুবক ভিন রাজ্যে কাজ করতেন। লকডাউনে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সকলেই বাড়ি ফিরে এসেছেন। প্রায় ছয় মাস সময় পেরিয়ে গেলেও কারও নতুন জব কার্ড হয়নি। অথচ, ওই এলাকারই সম্পন্ন পরিবারের অনেকে সেই জব কার্ড পেয়েছেন। অথচ, তাঁরা বা তাঁদের পরিবারের কেউ কখনও ভিন রাজ্যে কাজে যাননি।
এলাকার এক পরিযায়ী শ্রমিক নিশীথ বিশ্বাস বলেন, “কেরলে কাজ করতাম। কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাড়ি ফিরে অল্পস্বল্প কাজ করছি। তবে এই অসময়ে জব কার্ড ও একশো দিনের কাজ পেলে খুব সুবিধা হত।” জব কার্ড না-পাওয়ার কথা জানিয়েছেন করিমপুর ১ ব্লকের হরেকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাকেশ শেখ-ও। প্রায় বারো বছর আগে থেকে তিনি কেরলে দিনমজুরের কাজ করতে যান। আগে তেমন কোনও সমস্যা না হলেও এ বছর মার্চ মাসে কাজ না-থাকায় প্রচণ্ড সমস্যায় পড়েছিলেন। এক মাস কেরলে খুব কষ্ট করে পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া দিয়েথেকেছেন। তার পর বাসে বাড়ি ফিরে ১৪ দিন কোয়রান্টিনে ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, মাস পাঁচেক আগে নথিপত্র জমা করলেও এখনও জবকার্ড হয়নি। তাঁর বাবা- মায়ের নামে জব কার্ড থাকলেও গত দু’বছর তাঁদের এক দিনও একশো দিনের কাজ করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
জব কার্ড থাকলেও একশো দিনের কাজ পাননি জয়রামপুরের পরিযায়ী শ্রমিক আমরুল মণ্ডল। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএমের প্রার্থী ছিলেন। পাঁচ মাস আগে কেরল থেকে কাজ হারিয়ে ফিরেছেন। তাঁর জব কার্ড রয়েছে। কিন্তু একশো দিনের কাজ পাননি। তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক রঙ দেখেই কাজ দেওয়া হয়। করিমপুর ১ বিডিও অনুপম চক্রবর্তী এ ব্যাপারে বলেন, ‘‘লিখিত অভিযোগ জমা দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’