Katlamari primary health center

পরিকাঠামো আছে, ডাক্তার খুঁজছে গ্রামবাসী

স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর কয়েক আগেও ওই হাসপাতালে দিবারাত্র চিকিৎসক থাকতেন। ২৪ ঘণ্টাযই স্বাস্থ্য পরিষেবা মিলত। কিন্তু বর্তমানে সপ্তাহে দু’- থেকে তিন দিন চিকিৎসককে পাওয়া যায়। অভিযোগ, ঘণ্টাদুয়েক তিনি থেকে চলে যান রানিনগরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাতলামারি শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২০ ০৩:২৮
Share:

বেহাল। নিজস্ব চিত্র।

পরিকাঠামোর অভাব নেই। অভিযোগ, তা সত্ত্বেও পরিষেবা নেই সীমান্তঘেঁষা কাতলামারি হাসপাতালে। এর ফলে ওই এলাকার রোগীদের যেতে হচ্ছে কয়েক কিমি দূরের ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রানিনগরে। কাতলামারি হাসপাতালের হাল ফেরানোর দাবি তুলছেন স্থানীয়রা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর কয়েক আগেও ওই হাসপাতালে দিবারাত্র চিকিৎসক থাকতেন। ২৪ ঘণ্টাযই স্বাস্থ্য পরিষেবা মিলত। কিন্তু বর্তমানে সপ্তাহে দু’- থেকে তিন দিন চিকিৎসককে পাওয়া যায়। অভিযোগ, ঘণ্টাদুয়েক তিনি থেকে চলে যান রানিনগরে। ফলে হাসপাতাল ভবন ও অন্য পরিকাঠামো থাকলেও আদতে কোনও পরিষেবা পাচ্ছেন না কাতলামারির বাসিন্দারা। তবে শুধু কাতলামারিই নয়, ব্লকের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিও চিকিৎসকের অভাবে ধুঁকছে বলে অভিযোগ। তবে তারা স্বাস্থ্য ভবনে প্রস্তাব পাঠিয়েছে এই হাসপাতালগুলিতে নতুন করে চিকিৎসক দেওয়ার জন্য।

কাতলামারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র যেখানে সেই এলাকার বাসিন্দা বাবলু মণ্ডল বলেন, ‘‘এমনিতে হাসপাতালে পরিষেবা নেই বললেই চলে। তার ওপর মাসখানেক ধরে চিকিৎসক আসেন না। ফলে এই এলাকার মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’’ আরেক বাসিন্দা নাজমুল হক বলেন, ‘‘দিন কয়েক ধরে ছেলেটার জ্বর। দু’দিন হাসপাতালে গিয়ে ফিরে এলাম। শেষে রানিনগরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসককে দেখালাম। আমাদের অধিকাংশই দিন আনি দিন খাই পরিবার। গাড়ি ভাড়া দিয়ে এত দূরে যাওয়া সহজ নয়।’’ রানিনগরের বিএমওএইচ কামাল বাসার বলেন, ‘‘ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে চিকিৎসকের অভাব আছে। কাতলামারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকও বেশ কিছুদিন ধরে ছুটিতে। তার জেরেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। একগুচ্ছ পরিকল্পনা প্রস্তাব হিসেবেও পাঠানো হয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement