ফাইল চিত্র।
বহরমপুর পুরসভার প্রশাসক হিসাবে নামটা ঘোরাফেরা করতে শুরু করেছে। তৃণমূলের দলীয় কার্য়ালয়ে কান পাতলে খবরটা আরও একটু স্পষ্ট হচ্ছে— পুর প্রশাসকের পদ ফিরিয়ে দেওয়ার শর্তেই নাকি বরফ গলেছিল। কথা ছিল, অগাস্টের শেষ সপ্তাহেই তিনি ফিরে পাবেন ‘মসনদ’।
সে কথা এক কথায় মানতে না চাইলেও বহরমপুর পুরসভার প্রাক্তন প্রধান নীলরতন আঢ্য ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, অনিচ্ছা তেমন নেই তাঁর।
তিনি বলছেন, “বহরমপুরের মানুষ এখনও নানান পুর-সমস্যা নিয়ে আমার কাছে আসেন। মানুষ আমার কাছ থেকে সেই পরিষেবা পেয়েছিলেন বলেই তো আসে। কিন্তু মানুষকে সেই পরিষেবা দেব কি করে যদি পদটাই না থাকে!”
তৃণমুলের এক তাবড় জেলা নেতা মনে করেন, “পদ ফিরে পাওয়ার শর্তেই প্রায় বসে যাওয়া নীলরতন আবার তৃণমূলের কর্মসূচিতে পিরেছেন। তবে একাধিক মামলা চলছে, এই অবস্থায় ওঁকে পদে বসাতে দোটানায় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।”
দলের অন্দরের খবর, চেয়ারের বিনিময়ে দলে ফেরার সম্মত্তিতে সদ্য জেলা কো-অর্ডিনেটর হওয়া সৌমিক হোসেনের হাত ধরেছেন নীলরতন। মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকল আর বহরমপুর ছাড়া সব ক’টি পুরসবাতেই প্রাক্তন পুরপ্রধানেরা বসেছেন প্রশাসকের পদে। কিন্তু শতাব্দী প্রাচীন বহরমপুর পুরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর। তারপর সদর মহকুমাশাসককে ওই দায়ীত্ব দেওয়া হয়েছিল। লোকসভা ভোটের সময় এই দায়িত্ব পেয়েছিলেন কান্দি পুরসভার বর্তমান প্রশাসক অপূর্ব সরকার।
অথচ একবারের জন্যও নাম ওঠেনি নীলরতন আঢ্যের। উল্টে সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠতে শুরু করে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে মামলাও হয়।
যার মধ্যে অনেক মামলার এখনও নিষ্পত্তি হয় নি। সবদিক থেকে চাপে পড়ে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন নীলরতন। জেলা তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি তিনি দলে সক্রিয় হয়েছিলেন পুর প্রশাসকের চেয়ার পাওয়ার আশ্বাসে।
জেলা তৃণমুলের এক কো-অর্ডিনেটর অরিত মজুমদার বলেন, “যতদূর জানি প্রাক্তন চেয়ারম্যানদেরই প্রশাসক হিসাবে পুরসভায় বসার কথা। সেই হিসাবে বহরমপুরেও প্রাক্তন চেয়ারম্যান বসার সম্ভাবনা আছে।” আর সৌমিক বলছেন, “আমার মতে নীলরতন আঢ্যই উপযুক্ত ব্যক্তি। দীর্ঘদিন ধরে উনি পুরসভা চালিয়েছেন। সব জায়গায় চেয়ারম্যানই তো দায়িত্বে তাহলে এখানে আপত্তি কোথায়।”
আপত্তিটা ঠিক কোথায়, এখন দেখার সেটাই!