ঘট ভাসানের সময়। —নিজস্ব চিত্র।
রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আমল থেকে কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর সুনাম। প্রতিমা বিসর্জনের আগে ঘট ভাসানের রীতি চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী থেকে কৃষ্ণনগরের পুজোকে স্বতন্ত্র পরিচয় দিয়েছে। এ বার দুর্গাপুজোর ভাসানেও কৃষ্ণনগর প্রথম বারের মতো ঘট ভাসানে অংশ নিল।
নদিয়ার শহরের একটি বারোয়ারি পুজো কমিটির ঘট ভাসানকে ঘিরে শনিবার উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। কৃষ্ণনগর আমিনবাজার এলাকার মহিলা পরিচালিত নীলের মাঠ পুজোকমিটি প্রথম বারের মতো ঘট বিসর্জনের আয়োজন করে। প্রধান উদ্যোক্তা মহিলারাও ছাড়াও ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেন এলাকার সাধারণ মানুষও।
কেন এমন উদ্যোগ? পুজোর অন্যতম উপদেষ্টা পেশায় সরকারি আইনজীবী চঞ্চলকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘জগদ্ধাত্রী পুজোর ঘট ভাসানোর জন্য কৃষ্ণনগরের অতীত ঐতিহ্য রয়েছে। দুর্গাপুজোয় সেই ঘট ভাসানোর রীতি চালু করলাম আমরা। আগামিদিনে হয়তো গোটা বাংলার এই রীতি অনুসরণ করবে।’’